কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিন অভিযুক্তকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্র এবং অস্থায়ী কর্মী মনোজ, এবং দুই পড়ুয়া প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জইব আহমেদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত তিন জনকে বহিষ্কার করা হল কলেজ থেকে। মনোজ এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী। সেই পদে থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জইব আহমেদ এই কলেজের পড়ুয়া। তাঁদেরও বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার জিবি মিটিং শেষে এমনটাই জানান বিধায়ক ও কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি অশোক দেব। তিনি বলেন, শিক্ষা দপ্তরের সুপারিশ মেনেই তিনজনকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
অভিযোগ, গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে আইনের ছাত্রীদের ওপর। নির্যাতিতা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে কর্মী। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজের প্রাক্তনী তথা প্রভাবশালী নেতার প্রেম তথা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে সহায়তা করেছেন আরও দুজন।
রবিবার তিন অভিযুক্তের বাড়িতেই গিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে নানা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এম-র বাড়িতে সেই পোশাকগুলোই দেখা গিয়েছে। যেগুলো তিনি ঘটনার সময় পরেছিলেন। সেই পোশাক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষাল সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন। প্রথমে তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছিল। রবিবার সেই সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে ৯ করা হয়।
এই দলের এক অফিসারের কথায়, আগে সিসিটিভি ফুটেজে যে পোশাক দেখা গিয়েছিল, বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা পোশাকের সঙ্গে তা মিলে গিয়েছে। এগুলো ফরেন্সিক প্রমাণ হিসেবে এই তদন্তে কাজে লাগাতে পারে। এদিকে বাকি দুই অভিযুক্তের বাড়ি থেকেও পোশাক এবং অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁরা মোবাইল ছাড়া অন্য কোনও বৈদ্যুতিন গ্যাজেট ব্যবহা করেন কি না, তার খোঁজও করা হয়েছে।


