Election Commission Fire: ভোট গণনার মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দফতরে আগুন আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন… 

Election Commission Fire: ভোট গণনা চলাকালীনই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরে হঠাৎই আগুন। ডেটা সেন্টারে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্য নির্বাচনে আধিকারিকের দফতরের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকার দফতরের সমস্ত আধিকারিকরা। বন্ধ রাখা হয়েছে লিফট। এদিকে কালীগঞ্জে ভোট গণনা চলছে সেখানে কোনও প্রভাব পড়বে বলে না জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।

এদিকে কী করে নির্বাচন কমিশনের দফতরে আগুন লাগল সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে দমকল সূত্রে খবর, কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আগুনের গ্রাসে অনেক তথ্য পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই আগুনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অফিসের কোনও সংযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের অফিসেও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তায় ভোট গণনা কেন্দ্রে। ভোট গণনা কেন্দ্রের নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ভোট গণনা কেন্দ্রে মোতায়েন রয়েছে এক কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী এছাড়াও রয়েছে রাজ্য পুলিশ। এছাড়াও প্রায় ৫৫০ জন পুলিশ ফোর্স গণনা কেন্দ্রের আশেপাশে মোতায়ন করা হয়েছে। পুলিশি কড়া নজরদারি। গণনা কেন্দ্রের বাইরে বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকের নথি যাচাই করে তারপর প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন।

আজ কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের গণনা কেন্দ্রে মোট ১৬ টি টেবিল ও ২৩ রাউন্ডে গণনা করা হবে। সেই সঙ্গে গণনা কেন্দ্রে থাকবে তিন দলের প্রার্থীও। এছাড়াও জানা গেছে কেন্দ্রের দুটি রুমে সকাল আটটা থেকে গণনা প্রক্রিয়া শুরু হবে । প্রতিটি রুমে থাকবে সাতটি টেবিল ইভিএম ও একটি টেবিল ব্যালট ভোট কাউন্টিং এর জন্য থাকবে। অর্থাৎ ১৪ টি টেবিলে ইভিএমের ভোট গণনা হবে। সেই সঙ্গে দুটি টেবিল রাখা হয়েছে ব্যালট ভোট গণনার জন্য। সব মিলিয়ে মোট ৩০ বুথের ভোট গণনা হবে ২২ রাউন্ডে। যা উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে বেনজির বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সেই সঙ্গে প্রতিটি দলের ১৭ জন করে কাউন্টিং এজেন্ট থাকতে পারবে। সব মিলিয়ে তিনটি রাজনৈতিক দলের মোট ৫১ জন এজেন্ট ভোট গণনায় উপস্থিত থাকতে পারবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যেয় কালীগঞ্জ আসন ধরে রাখতে নাসিরুদ্দিন আহমেদের কন্যা আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করেছেন। বিজেপি এখানে আশীষ ঘোষ এবং কংগ্রেস কাবিল উদ্দিন শেখকে প্রার্থী করেছে। কংগ্রেসের ওপর সিপিআই (এম) এর সমর্থন রয়েছে।

২০২১ সালে কালীগঞ্জ আসনে তৃণমূলের জয়:-

২০১১ ও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূলের নাসিরউদ্দিন আহমেদ। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ১১ হাজার ৬৯৬টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষ পেয়েছিলেন ৬৪ হাজার ৭০৯টি ভোট। বিজেপি প্রার্থীকে ৪৬ হাজার ৯৮৭ ভোটে হারান তৃণমূলের নাসিরউদ্দিন আহমেদ। কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি পড়ে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক ফলের নিরিখে, কালীগঞ্জ আসনে বিজেপির থেকে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। সম্প্রতি কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তালিকা থেকে বাদ পড়ে ৫ হাজার ৮৪০ জন ভোটারের নাম। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৪২৬ জন মৃত। কালীগঞ্জে প্রায় ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ভোটারের মধ্যে একটা বড় অংশ সংখ্যালঘু ভোট।

সকাল ৮ টা থেকে গণনা শুরু হয়েছে পানিঘাটা হাইস্কুলে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট। তারপরে ইভিএম-এর ভোটগণনা হবে। গণনার জন্য দুটি হল ঘর থাকছে। গণনা কেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢোকার মুখে অর্থাৎ গণনা কেন্দ্রের বাইরে থাকবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। থাকছে লাঠিধারী পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স ও র‍্যাফ। দ্বিতীয় স্তরে থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃতীয় স্তরে কেবলমাত্র থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২০ রাউন্ড গণনার মাধ্যমেই ৩০৯ টি বুথের ফলাফল সম্পূর্ণ করা যাবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।