Kolkata Car Smuggling: শহরে বসে নতুন গাড়ি চুরি করে ভিনরাজ্যে পাচারের অভিযোগ। পুলিশি তদন্তে ফাঁস বড়সড় চক্রের পর্দা। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Kolkata Car Smuggling: প্যান-ইন্ডিয়া গাড়ি চুরির চক্র ফাঁস। কলকাতা থেকে শুরু—গাড়ি উদ্ধার বিহারে। জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে চুরি হওয়া একটি নতুন মাহিন্দ্রা স্করপিও গাড়ির সূত্র ধরে প্যান-ইন্ডিয়া গাড়ি চুরির এক বিশাল চক্রের হদিস পেল ভবানীপুর থানার পুলিশ। মামলাটি (ভবানীপুর থানার কেস নম্বর ১২২, তারিখ ০৩.০৬.২৫) দায়ের হয় হরিদেবপুরের বাসিন্দা রাজেশ সিংহর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় ঘটনার তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারী রাজেশ সিং ‘ওয়ার্ক ইন্ডিয়া’ অ্যাপের মাধ্যমে গত ২৯ মে মোহিত কুমার নামক এক চালককে নিয়োগ করেছিলেন। ২ জুন গাড়ির চালকের মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেলে, জিপিএস-এর মাধ্যমে গাড়ির শেষ অবস্থান আসানসোলে পাওয়া যায়। এরপর তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে উঠে আসে, মোহিত ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে এবং একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। আসানসোল ও জামশেদপুরে একাধিক রেইড চালিয়ে ১১ জুন সিধগোড়া থানা এলাকা থেকে মোহিত কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, তার বয়ানে মূলচক্রের হোতা তুষার দত্ত ওরফে বুম্বাকে ১৬ জুন বারুইপুর থানা এলাকার এক গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শ্রী জি মোটরসের মালিক অভিনাশ সিংকে এবং পরে বিহারের সমস্তিপুর থেকে রঘুবীর কুমার নামে এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। রঘুবীর চুরি করা গাড়ির চেসিস নম্বর পাল্টে সীতামারহির গাড়ি বাজারে বিক্রি করে দেয়। অবশেষে সেই গাড়িটি (WB 10 F 4934, পাল্টানো নম্বর: BR-01 JD 7332) উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্র দিল্লি, বিহার, ছত্তিশগড় সহ একাধিক রাজ্যে সক্রিয় এবং তদন্তে আরও চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার হতে পারে।
অন্যদিকে, কলকাতায় বসে জঙ্গি কার্যকলাপ! গোয়েন্দাদের জালে তিন সন্দেহভাজন যুবক। কলকাতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ওই তিন সন্দেহভাজন যুবককে আটক করেছে গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে বাংলায় বসে সিরিয়ায় জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। রবিবার শহরের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ওই তিন সন্দেহভাজন যুবককে আটক করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ধৃতদের এদিন দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এরপর গোয়েন্দারা দুটি ল্যাপটপের আইপি অ্যাড্রেস ধরে ওই যুবকদের খোঁজ পেতে তল্লাশি শুরু করে। আইপি অ্যাড্রেসের সূত্র ধরেই কসবার রাজডাঙ্গা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেখানে হানা দিয়েই ওই তিন যুবককে পাকড়াও করেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, ধৃত তিনজনের মধ্যে আবার একজন ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধৃতরা নিজেদের কসবা এলাকায় আইটি সেক্টরের কর্মী বলে পরিচয় দিতেন। ধৃতদের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে গোয়েন্দারা দুটি ল্যাপটপ সহ বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে।
সূত্রের খবর, ওই ল্যাপটপ দুটিতে সন্দেহজনক নথি পাওয়া গিয়েছে। এরপরই যুবকদের জেরা করা হয়। জেরায় অসঙ্গতিপূর্ণ জবাব দেওয়ায় তাদের আটক করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ধৃতদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। গোয়েন্দা সূত্র মারফত খবর থেকে জানা গিয়েছে যে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস। ফের অনলাইনে নিয়োগ পদ্ধতি শুরু করেছে তারা। তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকেই তারা ব্যবহার করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি করছে নিজস্ব গ্রুপ। দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও শহরের বাসিন্দা বিভিন্ন পেশার আড়ালে থাকা আইএসআইএস স্লিপার সেলের সদস্যরা দেখছে যে, কাদের মগজধোলাই করা সহজ হবে। আর তারপরেই কাজ শুরু।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


