Mithun Chakraborty vs Kunal Ghosh: রাজ্য রাজনীতিতে মিঠুন চক্রবর্তী ও কুণাল ঘোষের ঠোকাঠুকি, চাপানউতোর নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছর ধরেই বারবার এই ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এবার এই চাপানউতোর আদালত পর্যন্ত গড়াল।
KNOW
Mithun Chakraborty Defamation Case: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (AITC) প্রভাবশালী নেতা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করলেন বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে কুণাল যে মন্তব্য করেছেন, তার ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করেছেন মিঠুন। কুণালের মন্তব্যের জন্য এর আগে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন মিঠুন। তার জবাবও দেন কুণাল। কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট হননি মিঠুন। এই কারণেই তিনি মানহানির মামলা দায়ের করলেন। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই কুণাল উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অসত্য ও কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। শাসক দলের এই নেতা দাবি করেন, মিঠুন চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন। তিনি আইনের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন। মিঠুনের আরও অভিযোগ, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রয়েছে, স্ত্রী বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেন কুণাল। মিঠুনের দাবি, কুণালের মন্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক। এই কারণেই তিনি মানহানির মামলা দায়ের করেছেন।
মিঠুনকে পাল্টা তোপ কুণালের
মিঠুন মানহানির মামলা দায়ের করলেও, তাতে অবিচলিত কুণাল। তিনি বলেছেন, 'যাঁর মান থাকে, তিনি এত বার দলবদল করেন নাকি! তদন্তের ভয়ে কেউ দলবদল করেন! কোর্টে দেখা হবে। আমিও ওঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছি। চার-পাঁচটি চিটফান্ডের সঙ্গে ওর কী সংযোগ ছিল, সেটা আমি কোর্টে বলব। বলব পুরোটা সিবিআই তদন্ত করুক।'
রাজ্যসভার ২ প্রাক্তন সাংসদের আইনি লড়াই
মিঠুন ও কুণাল, দু'জনই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। দু'জনের বিরুদ্ধেই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ ওঠার পরেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করেন মিঠুন। কুণালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি ছাড়া পেয়ে ফের শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা হয়ে উঠেছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


