সংক্ষিপ্ত

রাত ১২টার সময় তিলোত্তমার পরিবার স্বাস্থ্য ভবনে হাজির হন। সেখানে পৌঁছে বলেন, তারা এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন করেন এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে আছেন বলেও জানান।

 

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে মোট পাঁচ দফার দাবি তুলেছে। করুণাময়ী থেকে পদযাত্রা করে স্বাস্থ্য যান তারা। জুনিয়র চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই থাকবেন। সুশীল সমাজও দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের পাশে। ট্রিপল থেকে খাবার, পানীয় জল সবই ব্যবস্থা হয়েছে। রাস্তায় যখন গান ও স্লোগানের ভিড় এবং শত শত মানুষ সমবেতভাবে শ্লোগান দিচ্ছিল তখন তিলোত্তমার পরিবার আর ঘরে থাকতে পারেনি। রাত ১২টার সময় তিলোত্তমার পরিবার স্বাস্থ্য ভবনে হাজির হন। সেখানে পৌঁছে বলেন, তারা এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন করেন এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে আছেন বলে জানান।

তিলোত্তমার মা কাঁপা কাঁপা গলায় বলেন, "আজ আমার মেয়ের জন্য শত শত সন্তান রাস্তায় নেমেছে। প্রশাসন আজ জোর করে রাস্তায় নেমেছে। আমি আর ঘরে বসে থাকতে পারছি না। যখন এসেছিলাম, তোমাদের দেখলাম। " রাস্তায় দাঁড়িয়ে খিঁচুড়ি খেতে দেখে খুব কষ্ট হচ্ছিল "ডাক্তারদের ঈশ্বরের চোখে দেখা হয় এবং সেই ডাক্তাররা এভাবে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি চাই তোমরা আমার সঙ্গে থাকো।" শুধু তাই নয়, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, "প্রশাসনের কিসের ভয়? কেন বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছে? কেন এত ব্যারিকেড?" মেয়েটির মৃত্যুর পর থেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন তুলছে তিলোত্তমার পরিবার।

 

 

গতরাতে তিলোত্তমার স্বজনরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এদিন গণমাধ্যমের সামনে আবারও সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিলোত্তমার বাবা। তিনি বলেন, "আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে আমার মেয়ের সঙ্গে যা ঘটেছে তা কারও একার ঘটতে পারে না। অনেকে এর সঙ্গে জড়িত। আমরা পুরো চেস্ট মেডিসিনকে দায়ী করছি। বিভাগ কিন্তু শুরু থেকেই সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেওয়া চেষ্টা করছে সরকার।” অবশেষে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন, বলেন, “আমরা থানায় গেলে মেয়ের লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হল, কেন? কেন আমার মেয়ের শ্মশানের খরচ বিনামূল্যে ছিল? মেয়ে আমার কাছে কোনও দিন কিছু চায়নি। সে কী ভাবল, বাপি এই চারশ টাকা দিতে পারল না?’ 

তিলোত্তমার মা বলেছে, মেয়ের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শান্তি থাকবে না। তিলোত্তমার মা বলেন, মা দুর্গাকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে আসতেই হবে। তিনি বলেন, আমার উৎসব শেষ। তবে এই কঠিন সময়ে মা দুর্গার আসা উচিত। আমি শুধু তার কাছে প্রার্থনা করি অপরাধীরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।"