সংক্ষিপ্ত

নবান্ন অভিযানের ঠিক একদিন আগে এই কর্মসূচির প্রধান নেতা কলকাতার একটি হোটেলে দেখা করেন এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে। সোমবার, সকালে এমনটাই দাবি করে রাজ্য পুলিশ।

নবান্ন অভিযানের ঠিক একদিন আগে এই কর্মসূচির প্রধান নেতা কলকাতার একটি হোটেলে দেখা করেন এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে। সোমবার, সকালে এমনটাই দাবি করে রাজ্য পুলিশ।

যে মিছিলকে প্রকাশ্যে অরাজনৈতিক বলে প্রচার করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তার নেপথ্যে আসলে রাজনীতি রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেই ঐ তথ্য প্রকাশ করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার।

এদিন সন্ধ্যায় তিনি জানান, তাঁর কাছে সেই সাক্ষাতের আরও বিশদ বিবরণ রয়েছে। ছাত্র সমাজের ঐ প্রতিনিধি কে, তিনি আসলে জানেন। কোন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে ঠিক কোন হোটেলের কোন ঘরে তিনি দেখা করতে যান, তাও তিনি জানেন বলে দাবি করেন। এই সংক্রান্ত কয়েকটি তথ্য প্রকাশ করে পুলিশ জানিয়েছে, “আপনাদের কি মনে হয় না যে, এটি একটি অদ্ভুত সমাপতন?”

উল্লেখ্য, আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। ঐ সংগঠনের কর্মসূচিকে বাইরে থেকে সমর্থন জানানোর কথা জানিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। আর ঠিক তার মধ্যেই সোমবার সকালে তৃণমূল অভিযোগ করে, “রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঐ মিছিলে গুলি চালানো এমনকি, লাশ ফেলারও পরিকল্পনা করছে শকুনের রাজনীতি করা একদল রাজনীতিবিদ।”

এই মর্মে দুটি ভিডিও প্রকাশ করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ঐ ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। তবে সেই ভিডিওতে দুই ব্যক্তিকে একাধিকবার নানাভাবে বলতে শোনা গেছে যে, ‘বডি পড়বে’।

এরপর পুলিশ একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়, নবান্ন অভিযানে তারা রীতিমতো অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করছে। তার কারণ, তাদের হাতে আসা বেশ কিছু সূত্র সেইদিকেই ইঙ্গিত করছে। আর সেই সমস্ত সূত্রেরই একটি ছিল, ছাত্র সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে কলকাতার এক বিলাসবহুল হোটেলে একজন রাজনৈতিক নেতার সাক্ষাৎ।

এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানান, “রবিবার কলকাতার ঐ বিলাসবহুল হোটেলে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে কোন ছাত্রনেতা দেখা করতে গিয়েছিলেন, তার সবটাই আমরা জানি। তবে আমরা কারও নাম বলছি না।”

তিনি আরও বলেন, “রবিবার, অর্থাৎ ২৫ অগাস্ট সকাল ১১টা বেজে ২৫ মিনিটে হোটেল হায়াত রিজেন্সিতে প্রবেশ করেন ছাত্র সমাজের অন্যতম একজন আহ্বায়ক। তাঁর নাম আমি করব না। কিন্তু তিনি অনেক কিছুই বলে বেড়াচ্ছেন। একটু আগেও সাংবাদিক বৈঠক করে অনেককিছু বলেছেন শুনলাম।”

পুলিশকর্তা সুপ্রতিম সরকার জানান, যিনি গিয়েছিলেন, তাঁর সিসি ক্যামেরার ফুটেজও আছে পুলিশের কাছে। পুলিশ বলছে, যে কেউ স্বাধীনভাবে যে কোনও জায়গায় যেতেই পারেন। কিন্তু একইসঙ্গে তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “নবান্ন অভিযানের অন্যতম নেতা তথা ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা যেখানে নিজেদের সাধারণ ঘরের সন্তান বলে দাবি করছেন, সেখানে তাদের একজনের হঠাৎ এই আবহেই শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে যাওয়া এবং রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ কি কেবলই সমাপতন? আপনাদের মনেও কি এই প্রশ্ন উঠছে না?”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।