- Home
- West Bengal
- Kolkata
- Lakshmir Bhandar: জানুয়ারিতে বাড়তে চলেছে ডিএ ও লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা? আর কোন ভাতা বাড়তে পারে?
Lakshmir Bhandar: জানুয়ারিতে বাড়তে চলেছে ডিএ ও লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা? আর কোন ভাতা বাড়তে পারে?
পয়লা জানুয়ারি ২০২৬ থেকে বাংলার সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডার ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ভাতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা। এই নিয়ে একাধিক সংবাদ মাধ্যম ও স্যোশাল মিডিয়াতে বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই খবরের সত্যতা কি, এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো।

মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার ও সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ছে?
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প হলো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পে মহিলাদের ২৫ বছর হলেই প্রতিমাস ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া ৬০ বছর বয়স হলেই বয়স্ক ভাতার টাকা দেওয়া হয়। তাই এই প্রকল্পের ভাতা বৃদ্ধি পেলে উপকৃত হবেন রাজ্যের কোটি কোটি মহিলা।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত প্রশাসনিক কাজ করে থাকেন, রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকেরা ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষিত করে তোলেন, কিন্তু তারাই নাকি ন্যায্য বেতন পাচ্ছেন না! এই নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে মামলা হয়েছে, যাতে আদালত রায় দিয়েছে, সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাবেন, তবে বর্তমানে সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে রায়দানের অপেক্ষায়। আর এরই মধ্যে কি আদৌ ডিএ দেবে রাজ্য সরকার? এই প্রশ্ন ও রয়েছে, রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মীদের মধ্যে।
জানুয়ারি ২০২৬ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাড়ছে?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে একটি সুখবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলারা ১২০০ টাকা পান। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এই অঙ্ক ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।
আগামী জানুয়ারি ২০২৬ থেকে এই প্রকল্পের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে এই খবরের কোনও সরকারি ভিত্তি নেই। এটি হতেও পারে, আবার না ও পারে। এই ভাতা বৃদ্ধি পেলে, রাজ্যের প্রায় দুই কোটিরও বেশি উপকারভোগী মহিলা এতে উপকৃত হবেন। তবে মনে রাখবেন, এটা কিন্তু এখনও নিশ্চিত নয়।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের শুরু ও উদ্দেশ্য
২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। শুরু থেকেই এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। প্রতি মাসে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হওয়ায় উপকারভোগীরা নিজেদের খরচ মেটাতে পারছেন। অনেক মহিলা এই টাকা দিয়ে ছোট ব্যবসা শুরু করেছেন। প্রকল্পটি পরিবারের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাঁদের ভূমিকাও বাড়িয়েছে।
বর্তমান ভাতা এবং যোগ্যতা
বর্তমানে সাধারণ শ্রেণির জন্য ১০০০ টাকা এবং তপশিলি শ্রেণির জন্য ১২০০ টাকা দেওয়া হয়। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা মহিলারা এই সুবিধা পান। সরকারি চাকরিতে না থাকা এবং আধার কার্ডের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করা আবশ্যক। আয়ের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নতুন আবেদন গ্রহণ করা হয়। সরকারের দাবি, এই প্রকল্প আজীবন চলবে।
জানুয়ারি থেকে ডিএ বাড়বে?
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ডিএ মামলা যে যায়গায় দাঁড়িয়ে সেখানে ২ থেকে ৩% ডি এ দিলেও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের দাবি অনুযায়ী বকেয়া ঢের বাকি থাকবে। এদিকে, আদালতের বিচারাধীন বলেও, রাজ্য সরকার নতুন ডিএ ঘোষণা থেকে বিরত থাকতে পারে। তবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরাম এই বকেয়া ডিএ আদায়ে আরও চরম সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, যা ভোটের আগে রাজ্য সরকার কে সত্যিকারে চাপে ফেলতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ডিএ নিয়ে RTI Report
পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ডিএ পেতে মরিয়া রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাই আদালত, আন্দোলন, আইনি কৌশল সমস্ত চেষ্টাই করে যাচ্ছেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা সর্বমোট কত জন ডিএ পাওয়ার অধিকারী, এই মর্মে একটি RTI করেছিলেন। সেই রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এই তালিকায় পেনশনভোগী, শিক্ষক শিক্ষিকা, মিউনিসিপ্যাল ও পঞ্চায়েতের কর্মীরা নেই।
যারা রয়েছেন,
সাধারণ রাজ্য সরকারি কর্মী ৩১৪২২০ জন
গ্রান্ট-ইন-এইড কর্মী ২০১২৩ জন
ওয়েজেস পে স্কেলের কর্মী ১৮৮৮ জন
AICTE বিভাগের কর্মী ১৬৩১ জন
রাজ্য সরকারের UGC কর্মী ২৬৯ জন
এছাড়া আরও ৪ লাখ শিক্ষক, পুলিশ ও অন্যন্য কর্মীরা রয়েছেন যারা এই তালিকায় নেই। তাদের সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কর্তা নিজস্ব বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডিএ ও বেতন প্রদান করে থাকে। তারা সরাসরি নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে ডিএ পান না।

