বিএলও অ্যাপে ম্যাপিং-আনম্যাপিং অপশন, বঙ্গে কতদূর এগোল এসআইআর-এর কাজকর্ম?
WB SIR Update News: বঙ্গে তড়িৎগতিতে চলছে এসআইআর-এর কাজকর্ম। এবার এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বিএলও-দের জন্য বড় আপডেট নির্বাচন কমিশনের। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

বিএলও অ্যাপে ম্যাপিং-আনম্যাপিং অপশন
ফের বিএলও অ্যাপে ফিরে এল পূরণ করা ইনিউমারেশন ফর্ম যাচাই ও ভোটারদের তালিকায় ম্যাপিং বা আনম্যাপিংয়ের অপশন। এর আগে বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওদের এই ক্ষমতা দেওয়ার পরও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল কমিশন। সমালোচনার মুখে ফের অ্যাপে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এই অপশন। এই বিশেষ ট্যাব ফিরে আসায় বিএলওরা আগের মতোই আপলোড করা কোনও ইনিউমারেশন ফর্ম নিয়ে সন্দেহ হলে তা যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন।
বাতিল করা যাবে সন্দেহজনক ভোটারের নাম
চাইলে তাঁরা কোনও সন্দেহজনক ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদও দিতে পারবেন। এছাড়াও অ্যাপে একাধিক অপশন বা ট্যাব আগের মতো ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে সংশ্লিষ্ট বিএলও তাঁর বুথে কতজন ভোটার অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেছেন তা অ্যাপে একটি বিশেষ ট্যাব মারফত যাচাই করতে পারতেন। হঠাৎ করে তা তুলে নেওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বিএলওদের। অ্যাপে সেই ট্যাবও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে বিএলওরা তাঁদের বুথে কতজন অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেছেন তা ফের যাচাই করতে পারবেন। সেই সঙ্গে আ্যাপে যুক্ত হয়েছে ড্যাশবোর্ড নামে নয়া একটি ট্যাব।
ফর্ম ডিজিটাইজড
এই ড্যাশবোর্ডের ট্যাবে ক্লিক করে বিএলওরা বুঝতে পারবেন, তাঁদের হাতে থাকা কত ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে এবং কত বাকি রয়েছে। বিএলওদের দাবি, এই ট্যাবগুলি ফিরিয়ে দেওয়ায় সুবিধা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু যত সময় এগচ্ছে ডিজিটাইজেশনের চাপ বাড়ছে। আরও কিছু দিন আগে এই অপশনগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হলে কাজে আরও সুবিধা হত। অ্যাপে পুরোনো অপশন ও নতুন ড্যাশবোর্ডের ট্যাব চালু হতেই বিপত্তি গতকাল প্রায় টানা ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা বন্ধ হয়ে যায় বিএলও অ্যাপ ।
ডিজিটাইজেশনের কাজ কতদূর এগোল?
বহু চেষ্টা করেও লগ-ইন করা যাচ্ছে না। এদিকে ইনিউমারেশন ফর্মের ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষের নির্ধারিত সময়ও দ্রুত এগোচ্ছে। ফলে রীতিমতো ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বিএলওদের। বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে ৭৮.৪২ শতাংশ ইনিউমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হয়েছিল।
কী বলছে কমিশন?
কমিশন সূত্র অনুয়ায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই কাজ এগিয়েছে মাত্র ৪ শতাংশের কিছু বেশি। এদিন পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৮২.৯১ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষের কথা জানিয়েছে কমিশন। বিএলও অ্যাপে চরম বিভ্রাটের কারণেই এই পরিস্থিতি বলে মনে করা হচ্ছে।
ডেডলাইনের আগেই শেষ হবে কাজ?
যে অ্যাপের মাধ্যমে এসআইআরের এই বিশাল কর্মকাণ্ড নির্ভরশীল সেই অ্যাপই যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে কীভাবে নির্ধারিত সময়সীমা অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব? এমন প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে ।

