সংক্ষিপ্ত

গোটা দেশ এইমুহূর্তে তোলপাড়। নিট (NEET) এবং নেট (NET), এই দুটি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গেছে সমগ্র দেশে। আর এবার এই দুর্নীতির প্রতিবাদে পথে নামল এসএফআই (SFI)।

গোটা দেশ এইমুহূর্তে তোলপাড়। নিট (NEET) এবং নেট (NET), এই দুটি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গেছে সমগ্র দেশে। আর এবার এই দুর্নীতির প্রতিবাদে পথে নামল এসএফআই (SFI)।

প্রসঙ্গত, এই দুটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস (Question Paper Leak) এবং দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI)। উল্লেখ্য, এই পরীক্ষাগুলি পরিচালনা করে থাকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (National Testing Agency)। গোটা দেশব্যাপী আয়োজিত হওয়া এই ধরণের পরীক্ষাগুলিতে যে পর্যায়ের কঠোর গোপনীয়তা বজায় থাকে, সেই ফাঁক গলে কী করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো দুর্নীতি হতে পারে তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।

আর এবার এই প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে আন্দোলনে নামল বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই (Student Federation Of India)। মঙ্গলবার, শ্যামবাজার (Shyambazar) থেকে কলেজস্ট্রিট (College Street) পর্যন্ত এক মহামিছিলের ডাক দেয় তারা। সঙ্গে ছিল আরও তিনটি বাম ছাত্র সংগঠন। এইআইএসএফ (AISF), এইআইএসবি (AISB), পিএসইউ (PSU) এবং এসএফআই (SFI)-এর যৌথ উদ্যোগে এই মহামিছিল শুরু হয়।

চারটি সংগঠনের তরফ থেকে প্রচুর কর্মী এবং সমর্থক এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিল শেষে কলেজস্ট্রিটে কুশপুতুল দাহ করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি ছিল, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-কে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সেইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

অন্যদিকে, রাজ্যের কলেজগুলির অ্যাডমিশন (College Admission) প্রক্রিয়ায় ওবিসি (OBC) ক্যাটেগরির ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ সম্পর্কিত জটিলতা কাটাতে রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) তরফে গাইডলাইন প্রকাশের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় অ্যাডমিশন পোর্টালের অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তোলেন তারা।

এসএফআই-এর রাজ্য (SFI West Bengal) সম্পাদক দেবাঞ্জন দে (Debanjan Dey) এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানান, “এত বড় দুর্নীতি। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী অন্ধকারের মধ্যে রয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা বলছি, অবিলম্বে এনটিএ বাতিল করতে হবে। চূড়ান্ত অব্যবস্থা চলছে। এদিকে আমাদের রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে। আমরা বলেছিলাম যে, বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু করতে। কারণ, সরকারের সেই পরিকাঠামো নেই।”

তিনি আরও যোগ করেন, “গত দুদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। ওবিসি ক্যাটেগরির ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়ছে। পোর্টালে শুধু ওবিসি সিলেক্ট করা যাচ্ছে। কিন্তু ২০১০ সাল পরবর্তী ওবিসি তালিকা বাতিল ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। তাহলে কোন সার্টিফিকেট দেখিয়ে কলেজে তারা ভর্তি হবে? যে রিজার্ভ সিটগুলি কলেজে আছে, সেগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে গাইডলাইন দিতে হবে।”

অন্যদিকে, এসএফআই কলকাতা জেলার (SFI Kolkata) সম্পাদক দীধিতি রায় (Didhiti Roy) এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানান, “নিট-ইউজি পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সেইসঙ্গে, ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নেওয়ার পর বাতিল হয়েছে। সিএসআইআর-নেট পরীক্ষার তিনদিন আগে বাতিল হয়েছে। নিট-পিজি পরীক্ষার আগের দিন বাতিল হয়েছে।”

তাঁর কথায়, “এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। এই পরীক্ষাগুলি পরিচালনা করে এনটিএ। যার প্রধান হলেন প্রদীপ কুমার যোশী। তিনি এবিভিপি করতেন এককালে। এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই এনটিএ-কে বাতিল করতে হবে। সেইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পদত্যাগ চাই আমরা। কারণ, তারাও এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।”

সবমিলিয়ে, নেট এবং নিট দুর্নীতি নিয়ে এবার হুঁশিয়ারি দিল এসএফআই সহ বামেদের অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও।

আরও পড়ুনঃ

লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি! ছাত্রদের সভায় এসে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন সেলিম-সুজন

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।