আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা বিজেপি কার নেতৃত্বে লড়বে, তা ঠিক হতে চলেছে আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিজেপি নতুন সভাপতি ঘোষণা করতে পারে, যা বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। সূত্রের খবর, বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জায়গায় নতুন মুখ আসতে চলেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা বিজেপি কার নেতৃত্বে লড়বে, তা ঠিক হতে চলেছে আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে।

শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার ঝটিকা সফরে দিল্লি গিয়ে বিজেপির সদর দফতরে দলের দুই শীর্ষ সাধারণ সম্পাদক, বি এল সন্তোষ ও সুনীল বনসলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।

কি নিয়ে আলোচনা হল?

১) বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের বিষয়

২) সুকান্ত মজুমদারের বিকল্প হিসেবে নতুন মুখ বাছাই

৩) দলের সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করা

৪) ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি

বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এমন কাউকে চাইছেন যাঁর গ্রহণযোগ্যতা দলের সর্বস্তরে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে উঠে আসছে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম, যিনি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ১৮টি আসন পাইয়ে দেওয়ার অন্যতম কারিগর। এই পরিস্থিতিতে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসা তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি ২০১৯ সালে দলের সাংগঠনিক সাফল্যের মূল কাণ্ডারী ছিলেন এবং তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যথেষ্ট।

দোল উৎসবের আগেই সভাপতি নির্বাচন?

সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্ব দোল উৎসবের আগেই সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে। এর জন্য রাজ্য পর্যায়ের সভাপতি নির্বাচন দ্রুত শেষ করতে হবে।

কেন নতুন রাজ্য সভাপতি চাইছে বিজেপি?

১. কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছেন এমন কাউকে, যিনি রাজ্য বিজেপির সব স্তরে গ্রহণযোগ্য হবেন।

২. সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে দলের সাংগঠনিক শক্তি তেমন বৃদ্ধি পায়নি বলে মনে করা হচ্ছে।

৩. ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নতুন নেতৃত্ব আনতে চাইছে দল।

বিজেপির ভবিষ্যৎ কৌশল কী?

বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে নতুন মুখ আনতে চাইছে, যাতে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ে। এরই সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠন আরও শক্তিশালী করা হোক। রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ তৈরি করাই মূল লক্ষ্য।