- Home
- West Bengal
- Kolkata
- একদিনের চড়থাপ্পড় নিষ্ঠুরতা নয়! বধূনির্যাতনের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
একদিনের চড়থাপ্পড় নিষ্ঠুরতা নয়! বধূনির্যাতনের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
বধূনির্যাতন মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হল এফআইআর বা চার্জশিট মিলিয়ে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যেখানে প্রমাণ হয় যে স্বামী লাগাতার স্ত্রীকে নির্যাতন করত।

বধূ নির্যাতন মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
বধূনির্যাতন মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হল এফআইআর বা চার্জশিট মিলিয়ে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যেখানে প্রমাণ হয় যে স্বামী লাগাতার স্ত্রীকে নির্যাতন করত।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
বধূনির্যাতন মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হল এফআইআর বা চার্জশিট মিলিয়ে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যেখানে প্রমাণ হয় যে স্বামী লাগাতার স্ত্রীকে নির্যাতন করত। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হল প্রতিহিংসার কারণে স্বামীকে হয়রানি করেতই স্ত্রী আইনের সাহায্যের অপব্যবহাহর করেছে। সেই কারণেই এফআইআর খারিজের নির্দেশও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি।
নিষ্ঠুরতার ব্যাখ্যা
কলকাতা হাইকোর্টে মামলা
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠেছিল এক বধূনির্যাতনের মামলা। সেই মামলাতেই বধূ নির্যাতন বা গার্হস্থ্য হিংসার ক্ষেত্রে নিষ্ঠুরতার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আদালত।
নিষ্ঠুরতার দুটি ব্যাখ্যা
পুরনো ভারতীয় দণ্ডবিধি বা আইপিসি-র ৪৯০(এ) নিষ্ঠুরতার দুই রকম ব্যাখ্যা রয়েছে।
- প্রথমতঃ ইচ্ছেকৃত আচরণ যা স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতে পারে সেটি নিষ্ঠুরতা।
- দ্বিতীয়তঃ স্ত্রীর জীবন, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, মানসিক বা শারীরিত স্বাস্থ্যের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে, এমন কোনও কাজ নিষ্ঠুরতা বলে বিবেচিত হয়।
একই সঙ্গে বলা হয়েছে স্ত্রী বা তার পরিবারের কাছ থেকে পণের টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেওয়া বা হুমকি দেওয়াও নিষ্ঠুরতার পর্যায়ে পড়ে।
এই মামলার ধরন
এই মামলার ক্ষেত্রে স্বামী ও শ্বশুরবাড়িক লোকেদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, স্ত্রী-ধন আটকে রাখার অভিযোগ করেছিলেন স্ত্রী। একই সঙ্গে ২০২২সালে বর্ধামান শহরে স্ত্রীকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মহিলা। কিন্তু স্বামী ও তারপরিবার জানিয়েছে, স্ত্রী বহুদিন পূর্বেই নিজের গয়নাগাটি নিয়ে নিজের প্রেমিকের কাছে চলে গিয়েছে। স্ত্রীর একটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি স্বামীর পক্ষের।
কোর্টের নির্দেশ
এই মামলার শুনানিতেই কোর্টের নির্দেশ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ওপর প্রতিশোধ নিতেই এই জাতীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বধূ নির্যাতন হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ চার্জশিটে নেই. এফআইআর-এ নেই। তাই মামলা খারিজ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় ,সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

