সংক্ষিপ্ত

কথায় বলে, ভালোবাসার ক্ষমতার কোনও সীমা নেই। তাই, দেশের সীমানা তার কাছে তুচ্ছ। দেশ যদি শত্রুপক্ষও হয়, তাহলেও ভালোবেসে তাকে বেঁধে নেওয়া যায় আত্মীয়তার বাঁধনে। যেমন করে দেখালেন কলকাতার যুবক। 

ভালোবাসায় বাধ মানে না দেশের সীমানা পরিধি। শত্রুতার বেড়াজাল তার কাছে নেহাতই চুনোপুঁটি। দেশ যদি শত্রুতায় মগ্নও হয়ে থাকে, ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবীর মধ্যে সৃষ্টি করা যায় অনন্য নজির। যেমন ঘটিয়ে দেখিয়েছেন কলকাতার যুবক আর পাকিস্তানের তন্বী। ফ্রম করাচি টু কলকাতা – ভালোবাসায় বেঁধে মাত্র ৪৫ দিনের ভিসা পেয়ে বঙ্গদেশের পা রাখলেন পাকিস্তানি তরুণী জাভেরিয়া খানুম। 

-

পাঞ্জাবি ঢোলের তালে ভাংরা নাচে মেতে উঠল দুটি মুসলমান পরিবার। আটারি- ওয়াঘা বর্ডারে হবু স্ত্রীকে পাকিস্তান থেকে সোজা কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য স্বয়ং উপস্থিত হলেন কলকাতার পাত্র সমীর খান, সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা আহমেদ কামাল খান। “ভারতে এসে আমি দারুণ খুশি। এখানে এসেই প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি। আসন্ন জানুয়ারি মাসে আমরা বিয়ে করতে চলেছি”, উৎফুল্ল হয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানালেন ২১ বছর বয়সি জাভেরিয়া খানুম। 

-

জাভেরিয়াকে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসার জন্য ৪৫ দিনের ভিসা দিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। এর আগে গত ৫ বছর ধরে বিয়ে করার তোড়জোড় করছিলেন এই যুগল। কিন্তু, করোনা মহামারীর কারণে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিল সেই শুভ আয়োজন। দু'বার ভিসার জন্য আবেদন জানিয়েও অনুমতি পাননি জাভেরিয়া। তৃতীয়বারে তাঁর স্বপ্ন সফল। দেখা করলেন নিজের ভালোবাসার মানুষ এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে।