সংক্ষিপ্ত

কুলপির দক্ষিণ গাজিপুরে ওই কংগ্রেস কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। সোমবার প্রচারের সময় হামলা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর কলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

ভোটের একদিন আগে কুলপিতে কংগ্রেস কর্মী খুন। কুলপির দঃ গাজিপুরে আক্রান্ত হয়েছিলেন কংগ্রেস কর্মী। সোমবার এলাকার নির্দল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছিলেন। সেখানেই প্রচারের পর তাঁর উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কলকাতার একবালপুরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অ্যাডমিশন ফর্মে উল্লেখ করা হয় যে তেসরা জুলাই তারিখে এই ঘটনা ঘটেছে। সেদিন রাত নটা নাগাদ প্রচার করছিলেন তিনি। সেখানেই হামলা হয় বলে অভিযোগ।

কুলপির দক্ষিণ গাজিপুরে ওই কংগ্রেস কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। সোমবার প্রচারের সময় হামলা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর কলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত নেতার নাম আলফাজুদ্দিন হালদার। তিনি এলাকায় কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন। সূত্রের খবর, যখন ওই ব্যক্তিকে নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয় তখন তাঁর নাক, কান ও মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি চিকিৎসকদের প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন যে বাঁশ দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়েছে, মাথায় আঘাত করা হয়েছে। কংগ্রেসেরও অভিযোগ ছিল বাঁশ, রড দিয়ে বেধরক মারধর করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাঁর পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় পার্কসার্কাসের একটি নার্সিংহোমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় চড়েছে রাজনীতির পারদ, শাসক বনাম বিরোধী দলের হিংসা হানাহানিতে প্রচুর মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র বেশ কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত বাংলা। বোমা-বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে রাজ্য। কার্যত প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। ঝরছে রক্ত। প্রাণহানি হচ্ছে।

বহু জেলায় অশান্তিপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করে মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অশান্তি রুখতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নির্দেশ মেনে একাধিকবার রাজভবনে হাজিরা দেওয়া এড়িয়ে গিয়েছিলেন কমিশনার। ভোটের মাত্র ২ দিন আগে ৬ জুলাই সাংবাদিক বৈঠক করে সরাসরি রাজীব সিনহাকেই অশান্তি রুখতে না পারার জন্য কটাক্ষ করলেন তিনি।

৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের ২ দিন আগে সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনকে অশান্তি এড়াবার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজীব সিনহার প্রতি পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘অশ্বথামা নয়, দ্রোণাচার্যের মতো কাজ করুন’। সারা বাংলার মানুষের প্রতি তাঁর অনুরোধ, ‘মানুষের রক্ত দিয়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা বন্ধ হোক’। মহাভারত, শেক্সপিয়ার, টি এন সেশন, স্বামী বিবেকানন্দ, সমস্ত বিখ্যাত উদ্ধৃতি উল্লেখ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে ‘রাজধর্ম’ পালনে রাজীব সিনহা কতটা ব্যর্থ তার ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যপাল।