সংক্ষিপ্ত
গবেষণার জন্য ২০০১ সালে পদ্মশ্রী ও ২০১০ সালে পদ্মভূষণ সম্মান পান বিকাশ সিনহা। তিনি মুর্শিদাবাদ রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন।
প্রয়াত পদ্মভূষণ প্রাপ্ত বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা। শুক্রবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮। পরমাণু গবেষণায় তাঁর কৃতিত্ব আজও অমলীন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক সমস্যায ভুগছিলেন বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা। দিন কয়েক আগে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভর্তি করা হয়েছিল শহরের একটি নামি বেসরকারি হাসপাতালে। গতকাল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবণতি হয়। এদিন সকালে চিরঘুমে চলে যান বিজ্ঞানী। তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয়েছে মিন্টোপার্কের বাড়িতে। সেখানে তাঁর অনেকেই শ্রদ্ধা জানাবেন।
গবেষণার জন্য ২০০১ সালে পদ্মশ্রী ও ২০১০ সালে পদ্মভূষণ সম্মান পান বিকাশ সিনহা। তিনি মুর্শিদাবাদ রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা বিমল চন্দ্র সিংহ ছিলেন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। ১৯৪৫ সালে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনা করেন। তারপরই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাত্রা করেন। মূলত তিনি ব্রিটেনে পড়াশুনা করেন।
কর্মজীবনে একাধির বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যক্ত ছিলেন। বিদেশ থেকে ফিরে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে যোগদান করেন। বিকাশ সিনহা সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স অ্যান্ড ভ্যারিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার এর পরিচালক ছিলেন। ২০০৫ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, দুর্গাপুরের বোর্ড অফ গভর্নরসের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৯ সালে ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার ও সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৫ ও ২০০৯ সাল- দুইবার প্রধানমন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনিত হন। তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলর সদস্য ও খড়গপুর আইআইটির সেনেট সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন।
বিকাশ সিনহাকে D.A.E. - ড. রাজা রামান্না পুরস্কার ২০০১ এবং পান্ড্য এন্ডোমেন্ট লেকচার অ্যাওয়ার্ড, আইপিএ, ২০০১ এবং এই বছরই রইস আহমেদ মেমোরিয়াল লেকচার অ্যাওয়ার্ড, আলীগড়, প্রদান করা হয়।