Sukanta Majumdar News: মুর্শিদাবাদের অত্যাচারিত হিন্দুদের জন্য অনুদান সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার কলকাতার হাজরা মোড়ে চাঁদা সংগ্রহ করতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার 

Sukanta Majumdar News: মুর্শিদাবাদের অত্যাচারিত হিন্দুদের জন্য অনুদান সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার কলকাতার হাজরা মোড়ে চাঁদা সংগ্রহ করতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে আটক করে লালবাজার নিয়ে যায় পুলিশ।

গ্রেফতারি প্রসঙ্গে কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar News):-

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে হাজরা মোড়ে দোকানে-দোকানে গিয়ে মুর্শিদাবাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাহায্যের জন্য অনুদান সংগ্রহ করছিলেন সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপির নেতাকর্মীরা। মাঝপথেই তাঁদের আটকায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ কেন তাদের আটকাল তা জানতে চাইলে সুকান্ত মজুমদার ও অন্যান্য বিজেপি সমর্থকদের টেনে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। আটক করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।

যদিও, পুলিশ আটক করতেই সুকান্ত মজুমদার জানান, এটা তাদের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। এভাবে রাস্তা আটকাতে পারে না পুলিশ। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কোনও যুক্তিই মানেনি পুলিশ। অভিযোগ, জোর করে তাঁদের সবাইকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।

সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ''পুলিশ বেআইনি কাজ করছে। বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকদেরও ভ্যানে তোলা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের জন্য আমরা শুধু চাঁদা চাইতে এসেছিলাম। পুলিশ সেটাও করতে দিল না।''

অন্যদিকে, সোমবার জাফরবাদে আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ঘুরে দেখেন ঘটনাস্থল। কথা বলেন আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,''মন্দিরগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেবদেবীর মূর্তি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমি জানি না এরা কোন ধর্মের? দেবদেবীর মূর্তি ভাঙলে কোনও লাভ হয় কী ওদের ধর্মে? পূণ্য হয় কী-না সেটাও আমার জানা নেই। যারা অন্যের ধর্মকে সম্মান করতে জানে না, তারা নিজের ধর্মকেও সম্মান করে বলে আমার মনে হয় না।''

সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ''আক্রান্ত প্রত্যেকেরই দাবি এলাকায় স্থায়ী BSH ক্যাম্প দরকার। আমি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব এই ঘটনার সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা বিএসএফ-কে এখানে ক্যাম্প করার অনুমতি দিন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই বিষয়ে আবেদন জানান। প্রয়োজনে কেন্দ্রের সঙ্গে আমরা কথা বলে নেব।''

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।