সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি কোনও রাজ্যে গেলে সাধারণত সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর এবারের পশ্চিমবঙ্গ সফরেও এর ব্যতিক্রম হল না।
সন্দেশখালি নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার বিকেলে রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের পাওনা টাকা বা শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গ ওঠেনি। মোদী-মমতা সাক্ষাতে সৌজন্য বজায় ছিল বলেই জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি সৌজন্য ও প্রোটোকল মেনেই এখানে এসেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি রাজ্যে এলে তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করা প্রোটোকলের মধ্যে পড়ে। সেই প্রোটোকল মেনেই আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। আমার যা বলার রাজনৈতিক সভায় বলব। এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক ছিল না।’
সন্দেশখালির আবহে মোদী-মমতা বৈঠক
সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে মহিলাদের উপর অত্যাচার, জমি দখল-সহ বহু অভিযোগ উঠেছে। এই তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হলেও দাপট কমেনি। রাজ্য বিজেপি নেতারা সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে নিয়মিত আক্রমণ করছেন। সন্দেশখালি গিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার হুগলির আরামবাগের জনসভায় মোদীও সন্দেশখালির ঘটনার কথা উল্লেখ করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই মোদী-মমতা সাক্ষাৎ হল।
বকেয়া পাওনা দাবি রাজ্যের
রাজ্য সরকারের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার ১.১৮ লক্ষ কোটি টাকা দিচ্ছে না। ২০২২ সালের মার্চ থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রাজ্য সরকারই ১০০ দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে রাখা এবং দুর্নীতি নিয়ে একে অপরকে নিশানা করে চলেছে তৃণমূল-বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফরের সময় ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া থাকার কথা উল্লেখ করে ফের আক্রমণ শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল। পাল্টা সন্দেশখালি, দুর্নীতির কথা বলছে বিজেপি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
PM Modi: 'সন্দেশখালি দেখে রামমোহনের আত্মা কাঁদছে', আরামবাগ থেকে মোদীর তোপ মমতাকে