সংক্ষিপ্ত

বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, মামলাকারীদের বক্তব্যের সঙ্গে ২০০৯ সালের নিয়োগের প্যানেল মিলিয়ে দেখলেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি জানা যাবে। ২ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।

এবার বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেল কলকাতা হাইকোর্ট। কিছুদিন আগে প্রাথমিক স্কুলে বাম আমলের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বাম আমলের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেল জমা দেওয়ার নির্দেশ উচ্চ আদালতের। প্যানেল থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব। তাই পর্ষদকে আদালতে প্যানেল জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বকেয়া শূন্যপদ কত ছিল, নিয়োগে কী পদ্ধতি মানা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই প্যানেল তলব করা হয়।

বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, মামলাকারীদের বক্তব্যের সঙ্গে ২০০৯ সালের নিয়োগের প্যানেল মিলিয়ে দেখলেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি জানা যাবে। ২ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বাম শাসনকালে মালদহে কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পর্ষদ। এরপর তার ৫ বছর পর ২০১৪ সালে ওই পরীক্ষা হয়।

সেই সময় শাসনে ছিল তৃণমূল সরকার। তারপর দীর্ঘ সাত বছর পরে ২০২১ সালে ফল প্রকাশ হয়। ২০২৩ সালে সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। অভিযোগ ছিল, টেটের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারচুপি হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি মানা হয়নি। প্রায় ৩০০ চাকরিপ্রার্থী এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাদের বক্তব্য ছিল, সঠিক পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়নি। অস্বচ্ছ প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। যার জেরে ফলে বহু যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

সম্প্রতি সেই মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। সেই মামলাতেই প্যানেল জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। সঞ্জীব পাল-সহ প্রায় ৩০০ জন মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্য ছিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি মানা হয়নি। যেই প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে তা অস্বচ্ছ।

আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বকেয়া শূন্যপদে কাদের, কোন পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। এরপরই ২০০৯ সালের ওই প্যানেল মিলিয়ে দেখার কথা বলেন বিচারপতি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।