আরজি কর হত্যাকাণ্ড কী আগে থেকেই পরিকল্পিত ছিল? আদালতে বড় কথা বলল সিবিআই
- FB
- TW
- Linkdin
আরজি হত্যাকাণ্ড
আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে আরও তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সিবিআই-এর সওয়াল
এদিন শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই দাবি করে তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে।
আদালতের প্রশ্ন
বিচারক শুভাশিস দে সিবিআই আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, আপনারা ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। খুন ও ধর্ষণে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, নাকি প্রমাণ লোপাটে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে? আপনাদের কাছে কোনও তথ্য আছে কি যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে খুন ও ধর্ষণে যুক্ত?
বিচারক বলেন
সিবিআই-এর আইনজীবীকে বিচারক বলেন, ধর্ষণ ও খুন যদি পরিকল্পিত হয়ে থাকে তাহলে সেটা বড় ক্রাইম। সিরিয়াস কেস। তাহলে আলাদা করে এফআইআর করা উচিৎ।
সিবিআই-এর আইনজীবীর দাবি
তারা গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। পরিকল্পিত খুন ও ধর্ষণ হতে পারে। তবে তারা গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ এখনও পাননি বলেও জানিয়েছেন।
ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব
সিবিআই আইনজীবী এদিনও আদালতে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে অটল থাকেন। তিনি বলেন, ঘটনার আগে থেকেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।
সিবিআই-এর প্রশ্ন
আদালতে সিবিআই প্রশ্ন তোলে, সন্দীপ ঘোষ এফআইআর করতে দেননি এটা হতে পারে। কিন্তু ওসি কেন এফআইআর করবেন না। কে আটকেছে- সেটা জানাও জরুরি। এটাই ষড়যন্ত্র।
মোবাইল ফোন
তদন্তে দুই জনেরই মোবাইল ফোন গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মোবাইল ফোন থেকে কয়েকটি সন্দেহজনক নম্বর পাওয়া গেছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। ঘটনার দিন অভিজিৎ-সন্দীপ সবথেকে বেশি মোবাইল ফোনে কথা বলেছিলেন।
সদুত্তর দিচ্ছেন না
সিবিআই আইনজীবী আদালতে দাবি করেন দুজনেই সদুত্তর দিচ্ছেন না। অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন। সেই কারণে তাদের হেফাজতে নিয়ে প্রশ্নের প্রয়োজন রয়েছে।
শনিবার গ্রেফতার
আরজি কর হাসপাতালে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গত শনিবার অভিজিৎকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সন্দীপকেও গ্রেফতার দেখানো হয়।