সংক্ষিপ্ত

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার হওয়া চিকিৎসকের পোশাক নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। পুলিশের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত তালিকা এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিরোধী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার হওয়া চিকিৎসকের শরীরে কি পোশাক ছিল? পোশাক থাকলে কী অবস্থায় ছিল? শরীরের উপরের অংশে পোশাক ছিল না নিম্নাঙ্গে? কলকাতা পুলিশের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার তালিকা এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরস্পর-বিরোধী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতা পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা জিনিসের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ধর্ষণের পর খুন হওয়া চিকিৎসকের শরীরের নিম্নাংশে পোশাক ছিল। যদিও তাঁর শরীরের উপরের অংশে পোশাক ছিল কি না, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আবার বলা হয়েছে, মৃতার শরীরের নিম্নাংশে পোশাক ছিল না। ফলে কোন রিপোর্টে প্রকৃত তথ্য রয়েছে, সে বিষয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এখন এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু কলকাতা পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অসঙ্গতি থাকায় সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

সুপ্রিম কোর্টে পোশাক নিয়ে প্রশ্ন

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মৃতার শরীরে পোশাক থাকা এবং না থাকা নিয়ে যে পরস্পর-বিরোধী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, 'তদন্তের এই প্রশ্নই সিবিআই আধিকারিকদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃতার শরীরে পোশাক ছিল না। কিন্তু কলকাতা পুলিশের বাজেয়াপ্ত জিনিসের তালিকায় বলা হয়েছে, মৃতার শরীরের নিম্নাংশে পোশাক ছিল। ফলে ঠিকমতো নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে।'

পোশাক নিয়ে কেন বিতর্ক?

৯ অগাস্ট সন্ধে ৬টা বেজে ১০ মিনিটে ময়নাতদন্ত হয়। সেদিনই রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাজেয়াপ্ত করা জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করে পুলিশ। কিছুক্ষণের ব্যবধানে দুই রিপোর্টে কেন পরস্পর-বিরোধী তথ্য, সেই প্রশ্ন উঠছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

সিসিটিভির নজরদারি এড়িয়েও আরজি করের ঘটনাস্থলে নিশ্চিন্তে পৌঁছানোর গোপন রাস্তা! জানিয়ে দিলেন...

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় মোটেও সন্তুষ্ট নন, আরজিকর নির্যাতিতার বাবা-মা

YouTube video player