সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। একজন অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হলেও, এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
আর জি করে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় নতুন মোড়। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, মৃতার শরীরের একাধিক অংশের হাড় ভাঙা ছিল। কিন্তু সোমবার ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট দেখে কলকাতা পুলিশ দাবি করছে, মৃতার শরীরের কোনও অংশের হাড়ই ভাঙা ছিল না। তবে শরীরে ক্ষত ছিল। মৃতার শরীরের কোনও হাড় যদি সত্যিই ভাঙা না থাকে, তাহলে এই ঘটনার তদন্ত অন্যদিকে ঘুরে যাবে। মৃতার ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের একার পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব ছিল না। তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন।
জেরা করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টায় পুলিশ
সোমবার ধৃত সঞ্জয়ের পরিচিত পাঁচজনকে জেরা করে পুলিশ। এক মহিলাকেও লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া সাতজন চিকিৎসককেও জেরা করা হয়। ধৃতকেও জেরা করা হচ্ছে। জেরায় সঞ্জয় দাবি করেছে, সে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের উদ্দেশ্যে আর জি কর হাসপাতালে যায়নি। তার এক পরিচিত ব্যক্তির অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। সেই কারণেই সে অপারেশন থিয়েটারের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় মহিলা চিকিৎসককে দেখতে পেয়ে এই কাণ্ড ঘটায়। এরপর ৪ নম্বর ব্যাটালিয়নে ফিরে যায় সঞ্জয়।
আত্মহত্যার কথা কোথা থেকে এল?
মৃতা চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, তাঁদের ফোন করে জানানো হয়েছিল, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে তদন্তে খুন ও ধর্ষণের কথা জানা যায়। তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই কীভাবে আত্মহত্যার তত্ত্ব হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হল, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মঙ্গলবার আর জি কর হাসপতালের সহকারী সুপারকে জেরা করার জন্য লালবাজারে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
হাসপাতাল না নেশার ঠেক! রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে আর জি কর হাসপাতালের রাতের দৃশ্য
রবিবার পর্যন্ত পুলিশকে সময়, আর জি করের ঘটনার কিনারা না হলেই সিবিআই তদন্তের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর