সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসবে ফেরার কথা বলেছিলেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে ফিরলেন। পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে দুর্গাপুজোর মধ্যেও হয়তো জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলবে।
কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা কাজে ফিরছেন। তবে আন্দোলনের পথ থেকে সরতে নারাজ জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে সরকার যদি ১০ দফা দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আমরণ অনশন শুরু করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা ধর্মতলায় অবস্থান শুরু করছেন। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সিবিআই-এর উপর চাপ বজায় রাখতে চাইছেন। একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ।
আন্দোলনকারীকে লাথি পুলিশের!
শুক্রবার সন্ধেবেলা এসএসকেএম থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলা পৌঁছয় জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল। এরপর তাঁরা অবস্থান শুরু করবেন বলে জানান। কিন্তু তার আগেই উত্তেজনা তৈরি হয়। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, তাঁদের মিছিল ধর্মতলায় পৌঁছনোর আগেই সেখানে থাকা কয়েকজন আন্দোলনকারীকে টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে দেয় কলকাতা পুলিশ। আপন সামন্ত নামে এক ইন্টার্নের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। সতীর্থকে লাথি মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের। তাঁদের দাবি, যে পুলিশকর্মী তাঁদের সতীর্থকে লাথি মেরেছেন, তাঁকে সবার সামনে এসে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ১০ দফা দাবির সঙ্গে এই দাবিও তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
সিবিআই-কে চাপে রাখার দাবি আন্দোলনকারীদের
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, ‘আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে সিবিআই-কে চাপে রাখতে চাই। আমাদের আন্দোলনের চাপেই আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা আন্দোলন থেমে গেলে এসব কিছুই হবে না। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের কর্মবিরতি যাতে ন্যায়বিচারের পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, তার জন্যই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলাম। তবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও আমাদের আন্দোলন থামছে না।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
ভয় দেখিয়ে লাভ হয়নি, চুপ করাতেই খুনের ছক সন্দীপের, জেনে নিন কী কী নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন নির্যাতিতা