সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের পর প্রায় তিন মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে রাজ্যজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে।
৯ অগাস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার ৮৭ দিন পর সোমবার শিয়ালদহ আদালতে চার্জ গঠন হতে চলেছে। এই মামলায় গত মাসে প্রথম চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সেই চার্জশিটে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নামছিল। একইসঙ্গে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। এবার শিয়ালদা আদালতে চার্জ গঠন হওয়ার পর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সঞ্জয়ের পাশাপাশি সন্দীপের নামও থাকবে কি না, সেটা নিয়ে সবারই আগ্রহ রয়েছে।
সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রমাণ
আর জি কর মামলায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ৯ অগস্ট ভোরে জরুরি বিভাগের চারতলায় গিয়েছিল সঞ্জয়। সে ওই রাতে আর জি কর হাসপাতালেই ছিল। ময়নাতদন্তে মৃতার দেহে সঞ্জয়ের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। সঞ্জয়ের শরীরে যে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল, তা মৃতার সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময়ই তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সঞ্জয়ের বীর্য, লালারসও পাওয়া গিয়েছে।
সঞ্জয় একাই অপরাধ ঘটিয়েছিল?
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল, সঞ্জয়ের একার পক্ষে এই অপরাধ ঘটানো সম্ভব ছিল না। কিন্তু সিবিআই-এর চার্জশিটে মূল অপরাধী হিসেবে শুধু সঞ্জয়েরই নাম রয়েছে। ফলে সন্দীপ, অভিজিতের কী শাস্তি হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'কতটা আঘাত পেয়েছি বোঝাতে পারব না' , আরজি কর কাণ্ডে রীতিমত সরব বিদ্যা বালান
আর জি করে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অনুরোধে সাড়া, আমরণ অনশন, মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য ধর্মঘট প্রত্যাহার