- Home
- West Bengal
- Kolkata
- 'আজ রাতের মেনু কী'? জেলের খাবার মুখে রুচছে না সঞ্জয়ের! কী খেতে চাইল আরজি কর কাণ্ডের ধৃত?
'আজ রাতের মেনু কী'? জেলের খাবার মুখে রুচছে না সঞ্জয়ের! কী খেতে চাইল আরজি কর কাণ্ডের ধৃত?
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের আঁচ পৌঁছেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঘটনার অভিঘাতে উত্তাল গোটা দেশ। এই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায় এখন জেলে। তবে তার আবদারের বহর শুনে মাথায় হাত জেলকর্তাদের!
- FB
- TW
- Linkdin
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছে এক চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট স্পষ্ট করে বলা হয়েছে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে।
আরজি কর ঘটনার প্রথম থেকেই গোটা দেশে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। সারা রাজ্য তোলপাড় হয়ে যায় এই ঘটনার ধাক্কায়।
কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘন্টার মধ্যে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সে জেলে।
এদিকে, জেলের স্বাদহীন রুটি মুখে রুচছে না সঞ্জয় রায়ের। জেলকর্মীদের কাছে তাঁর প্রশ্ন 'আজ রাতের মেনু কী?'
উত্তরে রুটি-সব্জি শুনেই তার মুখ বেজার হয়ে যায়। আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়, যে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত, রাতে খাবারে অন্য কিছু চাইছিল!
বুধবার রাতে সঞ্জয় জেলকর্মীদের কাছে চাউমিন এবং স্যালাডের আবদার করে বসে।
স্বাভাবিকভাবেই তার আবেদন উপেক্ষিত হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সে। রীতিমত রাগ প্রকাশ করতে থাকে সে।
প্রেসিডেন্সি জেলের নির্দিষ্ট সময়ে সেলের মধ্যে পৌঁছানো হয় রুটি-সব্জি। সঞ্জয়ের দাবির বিরুদ্ধে ঐ একই খাবার দেখে সে রেগে যায়।
খাবারের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে সেলেই পায়চারি শুরু করে এবং বিরক্তি সহকারে থালা ঠেলে সরিয়ে দেয়।
জেলকর্মীদের বারবার ডাকাডাকি করেও খাবার গ্রহণ করেনি সঞ্জয়। সে বিক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, "এগ চাউমিন চাইছিলাম, কিন্তু কেউই আমার কথা শোনেনি!"
জেলকর্মীরা তার আবদারকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, "সব বন্দিই সমান। সবাই যা খায়, আপনাকেও তাই খেতে হবে। আপনি লাটসাহেবের নাতি নন।"
সঞ্জয়ের উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, প্রেসিডেন্সি জেলে সুরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সেলের সামনে রক্ষীরা পালা করে পাহারা দিচ্ছে যাতে সঞ্জয় কোনো অশান্তি না করতে পারে।