সংক্ষিপ্ত
আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার বলেন, ' সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি না মানেন তাহলে মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।'
১৪ দিনের অনশনের পরেও সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। এই অভিযোগ তুলে আরজি কর আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে দিল জুনিয়র ডাক্তাররা। সিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠকের পরই জুনিয়র ডাক্তাররা সরকার আর মাত্র তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল। তিন দিনের মধ্যে তাঁদের দাবি মেনে না নিলে তাঁরা মঙ্গলবার থেকে সর্বাত্মক ধর্মঘটের পথেই হাঁটবে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের পাশপাশি থাকবে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিও।
কোন পথে হবে আরজি কর আন্দোলন? তারই রুপোরেখা ঠিক করতে শুক্রবার আলোচনায় সিনিয়র ডাক্তারদের ডেকেছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। বৈঠকের পরই আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার বলেন, ' সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি না মানেন তাহলে মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।' ১০ দফা দাবি নিয়ে ৫ অক্টোবর থেকে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু সরকার এখনও পর্যন্ত তাঁদের ডাকে কোনও রকম সাড়া দেয়নি। তারপরই এদিন আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে অন্যপথে হাঁটার পরিকল্পন করেছেন আন্দোলনকারীরা। দেবাশিস জনিয়েছেন, '‘সোমবার পর্যন্ত আমরা একটা সময়সীমা দিচ্ছি। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের সব ক’টা দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসতে হবে এবং সব কয়েকটি দাবি মেনে নিতে হবে। যদি তা নয় তবে আগামী মঙ্গলবার সমস্ত সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বাধিক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।' সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত বলেও জনিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
৯ আগস্ট আরজি করের তরুণী চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপর কেটে গেছে প্রায় দুই মাস। হাসপাতালের নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় অনশন আন্দোলনও ১৪ দিনে পা রেখেছে। এই অবস্থায় আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াতে আরও কড়া প্রতিবাদ আন্দোলন চাইছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলন জ ১৪ দিনে পড়েছে। বর্তমানে অনশন মঞ্চে রয়েছেন ৮ জন। ৫ জন জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয় হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন একজন।