সংক্ষিপ্ত

মহালয়ার আগের রাতে একাধিক জায়গায় হয়েছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। দাবি একটাই, ‘তিলোত্তমা’-র বিচার চাই। কিন্তু সেখানেও এবার হামলার অভিযোগ।

মহালয়ার আগের রাতে একাধিক জায়গায় হয়েছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। দাবি একটাই, ‘তিলোত্তমা’-র বিচার চাই। কিন্তু সেখানেও এবার হামলার অভিযোগ।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এবার হামলার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ এলাকায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে কলকাতার ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না শূর নিজেও তাদের গায়ে রীতিমতো হাত তুলেছেন।

টালিগঞ্জের করুণাময়ী মোড়ে ওই ঘটনার পর মধ্যরাতে হরিদেবপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন। যদিও অভিযুক্ত কাউন্সিলর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, উল্টে তাদেরই মারধর এবং গালিগালাজ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এই নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হয়। টালিগঞ্জের করুণাময়ী এলাকাতেও এরকমই একটি মিছিল হয়। অভিযোগ উঠছে, সেখানেই অতর্কিতে হামলা করেন কাউন্সিলর এবং তাঁর লোকজন।

আন্দোলনকারীদের কথায়, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিলেন। হঠাৎ করণাময়ী বাজার এবং সামনের বস্তি থেকে কিছু লোকজন এসে ঠেলাঠেলি শুরু করে দেন। আর তারপরই প্রচণ্ড মারামারি শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে সেই মিছিলে মহিলা এবং শিশুদেরও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

এরপর হরিদেবপুর থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কয়েকজন। সেইসঙ্গে, পুলিশের বিরুদ্ধেও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তারা। পুলিশ নাকি কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে সোজা প্রত্যাখ্যান করেন তাদের।

জানা যাচ্ছে, আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রত্যেক শনিবার পুলিশের অনুমতি নিয়ে মিছিল করছেন তারা। মঙ্গলবার রাতেও একটি মিছিল যাচ্ছিল। কিন্তু আচমকা করুণাময়ী মোড় থেকে কয়েকজন মহিলা ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে দেন। পাশের একটি বস্তি থেকেও কয়েকজন এসে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ তাদের।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।