সংক্ষিপ্ত
পোস্টপর্টেমের পর দেহ নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল শববাহী গাড়ির চালককে। শুধু তাই নয়, শববাহী গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল। এবং তড়িঘড়ি সেই ভাড়াও মিটিয়ে দেয় পুলিশ।
১৪ অগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর, আরজি করে হামলার ১ মাস পার। ১৪ অগস্ট প্রথম হয়েছিল রাত দখল। তার আগে থেকেই চলছে অশান্তি আরজি কর ঘিরে। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয় উত্তাল সর্বত্র। ৯ অগস্ট উদ্ধার হয় তরুণীর দেহ। এরপর থেকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় প্রতি মুহূর্তে চলছে আন্দোলন।
বর্তমানে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। সদ্য এই ঘটনা এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। নিহত চিকিৎসকের শেষকৃত্য প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করবেন শববাহী গাড়ির চালক। পোস্টমর্টেমের পর দেহ নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল শববাহী গাড়ির চালক অমিতবাবুকে। শুধু তাই নয়, শববাহী গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল। এবং তড়িঘড়ি সেই ভাড়াও মিটিয়ে দেয় পুলিশ। এমনই খবর মিলেছে। সদ্য প্রকাশ্যে এল শববাহী গাড়ির চালকের বয়ান। তাঁর কথা থেকে স্পষ্ট কিছু আড়াল করার জন্যই এত দ্রুত দেহ দাহ করা হয়।
অমিতবাবু বলেন, ময়নাতদন্তের পর মর্গ থেকে ওই সময়ই রোজ মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশই। দেহ গাড়িতে তোলার পর প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে। তারপর পুলিশের নির্দেশের ডাক্তারদেহ হস্টেলের সামনে দিয়ে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান পেরিয়ে গেট দিয়ে গাড়ি বার করি। তাঁর গাড়ির সামনে ও পিছনে ২টো করে পুলিশের গাড়ি ছিল বলে জানা যায়।
এর আগেও শ্মশানের ম্যানেজারের বয়ান সামনে এসেছিল। তিনিও বলেছিলেন, দেহ দাহ কারর সময়ও তাড়াহুড়ো করা হয়। পুলিশের অনুরোধে আগে দাহ করা হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ। সে সময় একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
এদিকে আরজিকর কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক তথ্য সামনে আসছে। প্রকাশ্যে এসেছে সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতির কথা। আর্থিক তছরূপ থেকে শবদেহ নিয়ে দুর্নীতি এমনকী দেহাংশ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। চলছে সেই সব ঘটনার তদন্ত। তবে, এখনও অধরা আসল দোষীরা। এখন দেখার কবে এই ঘটনার নিষ্পত্তি হয়।