সংক্ষিপ্ত

হাসপাতালে ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এক চিকিৎসক। এরপরই তাঁর রহস্যমৃত্যু। অভিযোগ, মুখ বন্ধ রাখতে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি, ওষুধ নিয়ে মুখ খুললে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনাও সামনে এসেছে।

তলানিতে ওষুধের মান। সন্দীপকে এই কথা জানিয়েছিলেন তিলোত্তমা। এই সমস্যা বিহিত করার জন্য জোর দেন। এই সময় তাঁর সহকর্মীরা সাবধান করলেও শোনেননি নির্যাতিতা। প্রকাশ্যে এল এমনই তথ্য।

তাঁর সহকর্মীরা বার বার সাবধান করার পরেও তিনি মুখ বন্ধ করেননি। দুই সতীর্থকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘরে গিয়ে বলে এসেছিলেন, ওষুধের মান এবং কার্যকারিতা তলানিতে। এর বিহিত হওয়া প্রয়োজন। অভিযোগ, সন্দীপ তাঁকে বলেছিলেন, এত বেশি কথা বললে তাঁর আর পাশ করা হয়ে উঠবে না। এই কথোপকথনের সময়ে হাসপাতালের আরও দুই কর্তা সেখানে ছিলেন। তাঁদেরই একজন জানান, গত কয়েক মাসে ওষুধের মান নিয়ে বিভিন্ন বিভাগ থেকে ডাক্তার -নার্সরা অহরহ অভিযোগ তুলেছেন। ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু, ওষুধের কার্যকারিতা না থাকায় রোগীর অবস্থা উত্তরোত্তর খারাপ হওয়া এমন বেশ কিছু অভিযোগ অধ্যক্ষের টেবিলে জমা পড়েছিল। কিন্তু এই নিয়ে কোনওটি নাড়াচাড়া হয়েছে বলে শোনা যায়নি।

জেনারেল সার্জারি এহং প্লাস্টিক সার্জারির কয়েকজন চিকিৎসক কিছুদিন আগে এ বিষয় সরব হয়। কিন্তু, বেশিদূর এগোয়নি। কারণ এক শল্যচিকিৎসকের কাছে ফোন আসে। ফোন হুমকি দিয়ে বলা হয়, প্রাণে বাঁচতে হবে তো? ওষুধ নিয়ে বেশি মুখ খুললে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে। এমন হুমকি এসেছিল।

তদন্তে উঠে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে কি, নির্যাতিতার মুখ বন্ধ করতেই তাঁকে খুন করা হয়েছিল? জানা গিয়েছে, অ্যান্টি বায়োটিক ঠিক মতো কাজ করছিল না এমনকী দেহের ক্ষত স্থানে যে ওষুধ লাগানো হয় সেই ওষুধও কাজ করত না।