সংক্ষিপ্ত
টানা তিন দিন সিপিআই-এর ম্যারাথন জেরা মুখে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। গত দুই দিনে তাঁকে প্রায় ২৩ ঘণ্টা জেরা করেছে সিবিআই। এদিনও বেলা ১১টায় তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গেছেন। সিবিআই সূত্রের খবর এবার তাদের নজর সন্দীপ ঘোষের ফোনের ওপর। আজ সিবিআই দফতরে যাওয়ার পরই তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর তার ফোন ফরেন্সিকে পাঠান হয়েছে।
সিবিআই সূত্রের খবর আরজি কর হাসপাতালে নিহত ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের আগে আর পরে সন্দীপ কাকে কাকে ফোন করেছিলেন, কতক্ষণ কথা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করেছেন। সন্দীপকে জেরার ধরন থেকে অনুমান তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষের হাত রয়েছে বলেও মনে করছে সিবিআই কর্তারা। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানি।
চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল অর্থাৎ প্লেস অফ অকারেন্স ভেঙে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে তিনি কী কী জানেন তা জানতে চাওয়া হয় সন্দীপের কাছে। এছাড়াও অপরাধের ঘটনা ঘটার পর কার কার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন সে সম্পর্কেও সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।
আরজি কর-কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে টানা ১৩ ঘণ্টা জেরা করা হয় শনিবার। আজ , রবিবার ফের জেরার মুখে সন্দীপ। শুক্রবার তাঁকে প্রথম রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হয়েছিল প্রায় ১০ ঘণ্টা। তারপর ফের জেরা করা হয় শনিবার। দুই দিনে তাঁকে মোট ২৩ ঘণ্টা জেরা করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর ধৃত সঞ্জয় রায়, প্রাক্তন ও বর্তমান অধ্যক্ষকে জেরা করে তারা জানতে চাইছে ৯ অগাস্ট ভোর রাত থেকে সকালবেলা পর্যন্ত হাসপাতালে কী কী হয়েছে। বিশেষ করে সেমিনার হলে কীকী হয়েছিল সেই দিকেই বিশেষ জোর দিচ্ছে সিবিআই।
শনিবার সিবিআই-এর একটি দল আরজি কর মেডিক্যাল হাসাপাতেল যায়। তারা ঘটনাস্থলের 3D লেজার ম্যাপিং করেছিল। এদিনও সিবিআই-এর একটি দল আরজি করে গিয়েছিল। তাদের সঙ্গে ছিল 3D লেজার নেশিন। ঘটনার 3D লেজার ম্যাপিং করে তারা সত্য উদ্ধাঘটন করতে মরিয়া চেষ্টা করছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।