সংক্ষিপ্ত

সিবিআই সূত্রের খবর ৫৫ পাতার চার্জশিটে ২০০ জন সাক্ষীর বয়ান দাখিল করা হয়েছে। মূল চার্জশিটে বলা হয়েছে সঞ্জয় রাইন খুন ও ধর্ষণ করেছে।

আরজি করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে প্রথম চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। মূল চার্জশিট ৫৫ পাতার। তবে সঙ্গে রয়েছে একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও। মূল চার্জশিটে নাম রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের। খুন ও ধর্ষণে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়। অন্যদিকে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম রয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তৎকালীন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের। তেমনই বলছেসিবিআই-এর একটি সূত্র।

সিবিআই সূত্রের খবর ৫৫ পাতার চার্জশিটে ২০০ জন সাক্ষীর বয়ান দাখিল করা হয়েছে। মূল চার্জশিটে বলা হয়েছে সঞ্জয় রাইন খুন ও ধর্ষণ করেছে। তাও আবার মদ্যপ অবস্থায়। প্রথমে শিয়ালদহ আদালতে মূল চর্জশিট পেশ করা হয়। পরবর্তীকালে সপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করে সিবিআই আইনজীবী।

সিবিআই সূত্রের খবর সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে নাম রয়েছে অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষের। তথ্য প্রমান লোপাটের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আরজি কর কাণ্ডে তাদের ভূমিকা আরও স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রের খবর। সূত্রের খবর,তদন্তের মোড় অন্যদিকে ঘোরানো আর গোটা ঘটনাকে লঘু করে দেখানোর বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।

গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩১ বছরের তরুণী চিকিৎসকের নিথর দেহ। প্রথম এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরবর্তীকালে তদন্তের ভার নেয় সিবিআই। কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু সিবিআই আরজি কর হত্যাকাণ্ড ও আরজি করের আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করে সন্দীপ ঘোষকে। সিবিআই গ্রেফতার করেছিল টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।