সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। 'জাস্টিস' স্লোগানে মুখরিত হয় আদালত চত্বর। সন্দীপকে লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ।

আদালতের ভিরতে বাইরে রীতিমত চাপে সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। কিন্তু বে-নজির ঘটনা ঘটে আদালতে। আদালত কক্ষেও উঠতে থাকে 'জাস্টিস' স্লোগান। আদালতে সন্দীপকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বাইরেও রীতিমত চাপে পড়তে হয় সন্দীপকে। সেখানে মহিলা আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি সামলাতে চেয়ে বিচারককে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়তে হয়। বিচাকরকে বলতে হয়, 'আইন হাতে তুলে নেবেন না। ওঁর ক্ষতি করবেন না।' কিন্তু তারপরই প্রাণ বাঁচাতে সন্দীপ আদালত কক্ষ থেকেই দৌড় দেন।

বিচারকের নির্দেশের পরই আদালত চত্ত্বরে উঠতে থাকে 'চোর চোর ' 'ফাঁসি চাই' স্লোগান। 'জাস্টিট ফর আরজি কর' স্লোগানও উঠতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচতে এদিন দোলতা থেকে দৌড়ে এসে সিবিআই-এর গাড়িতে ওঠে সন্দীপ। সেই গাড়ি ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন মহিলা আইনজীবীরা। সন্দীপকে লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ।

আদালত থেকে ধৃত সন্দীপ ঘোষ প্রিজন ভ্যানে উঠবার সময় জনসাধারণ প্রিজন ভ্যানে জুতো ছুড়ে মারে। আইনজীবীরা এবং আদালত চত্বরে উপস্থিত আমজনতার উই ওয়ান্ট জাস্টিস, বিচার চাই স্লোগানে মুখর হন। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কলকাতা পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় চার ধৃতকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া যায়। সন্দীপ সহ চার জন অর্থাৎ বিপ্লব সিং, সুমন হাজরা এবং আফসার আলিকে এদিন আদালত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়েছে। প্রত্যেকেই আরজি করের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। হাসপাতালের ওষুধ থেকে বর্জ্য সবেতেই আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি টাকার বিনিময় পাশ করানোর অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছে প্রতিবাদীরা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।