Santanu Sen News: আদালতের নির্দেশে স্বস্তিতে প্রাক্তন তৃণমূলপ নেতা। শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্তে কড়া নির্দেশ বিচারপতি সিনহার। কী বলেছেন তিনি? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Santanu Sen News: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ও চিকিৎসক শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল, তা খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আদালতের বক্তব্য, রেজিস্ট্রেশন বাতিলের কারণ জানানো হয়নি শান্তনুকে। তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হলে আগে পদ্ধতি মেনে তাঁকে পদক্ষেপের কারণ জানানো উচিত ছিল। এদিন কাউন্সিলকে পাল্টা নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
সূত্রের খবর, চিকিৎসক শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল তা নিয়ে এদিন আদালতে বিচারপতি সিনহা জানান, কোনও বৈধ কারণ এবং কাগজপত্র ছাড়াই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন, ''এটি একটি নন স্পিকিং ক্রিপটিক অর্ডার। মেডিক্যাল কাউন্সিলকে তদন্ত বা ওই সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট শান্তনুকে পাঠাতে হবে। তার পরে তাঁর বক্তব্য শুনতে হবে। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।''
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে উঠেছে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না করিয়েই বিদেশ থেকে 'এফআরসিপি গ্লাসগো' নামে একটি বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ। যদিও জুন মাসেই তা নিয়ে শান্তনু সেনকে নোটিস পাঠিয়েছিল রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল। এর পরেই কাউন্সিলের তরফে শান্তনুর ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন দু-বছরের জন্য বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই বিষয়ে মেডিকেল কাউন্সিলের দাবি, ''এফআরসিপি ডিগ্রির কথা কাউন্সিলকে জানাননি শান্তনু। এফআরসিপি হল একটি সাম্মানিক ডিগ্রি। ওই ডিগ্রির ব্যাপারে জানতে গ্লাসগোতে তারা একটি মেলও করেছিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, যাঁদের এই ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরা প্র্যাকটিস করতে পারেন কি না। কিন্তু মেলের এখনও কোনও উত্তর আসেনি বলেই জানিয়েছে কাউন্সিল।''
আরও জানা গিয়েছিল যে, বিদেশি ডিগ্রি নিয়ে ডাক্তার হওয়ার অভিযোগে শান্তনু সেনের ডাক্তারির লাইসেন্স বাতিল করে দেয় রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল। সূত্রের খবর, এবার থেকে নামের পাশে আর ডাঃ কথাটি ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি। দু-বছরের জন্য এই সাসপেন্ড নির্দেশিকা বহাল থাকবে বলেও জানানো হয়েছিল। যদিও সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত সাময়িক স্বস্তিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন এই সাংসদ। তবে এখনই তিনি ডাক্তারি করতে পারবেন কী পারবেন না সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


