সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভিন রাজ্য থেকে তরুণী নিয়ে এসে জোর করে আটকে রেখে এই ব্যবসা চালানো হতো বলে অভিযোগ। রেস্টুরেন্টে কাজ করার পাশাপাশি নারায়ণ দাস এই ব্যবসা চালাত।
অন্তর্দেশীয় সেক্স ব়্যাকেটের হদিস। এই মধুচক্রে আন্তর্জাতিক যোগ থাকার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক। পুলিশ সূত্রে খবর বিধান নগর কমিশনারেট এলাকায় গেস্ট হাউসে বসে পর্ণগ্রাফি শ্যুট করা হত। অনলাইন সেক্স ভিডিও ও বিভিন্ন গেস্ট হাউসে তরুণী পাঠিয়ে সেক্স ব়্যাকেট চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে মিডিল ম্যান নারায়ণ দাসকে। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভিন রাজ্য থেকে তরুণী নিয়ে এসে জোর করে আটকে রেখে এই ব্যবসা চালানো হতো বলে অভিযোগ। রেস্টুরেন্টে কাজ করার পাশাপাশি নারায়ণ দাস এই ব্যবসা চালাতো। এতে বড়ো বড়ো মাথার যোগ রয়েছে বলে অভিযোগকারী তরুণীর। এর পিছনে মূল পান্ডার খোঁজে বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেট।গোটা ঘটনার তদন্তে বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ।
তরুণীর অভিযোগ, '৪ঠা জানুয়ারি কাজের জন্য বিএল ৮২ গেস্ট হাউজে আসি। সেখানে আমাকে থাকতে বলে। আমি সেখানে থাকি। আমি অনুভব করি যে ওখানে হিডেন ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। ওখানে বেআইনি কিছু হচ্ছে। ওখানে যারা ক্লায়েন্ট আসে তাঁদের দিয়ে পর্ন ভিডিওর ব্যবসা করানো হচ্ছে। এছাড়া এখানে মাদক দ্রব্যেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। মেয়েদের এম এম এস বানিয়ে লাইভ ভিডিওর ব্রডকাস্ট করা হয়। ট্রিপল এক্স ভিডিওর ও লাইভ ব্রডকাস্টিং হচ্ছে। ছয় সাত দিন থাকার পর নারায়ন দাস আর একটি জায়গায় নিয়ে যায়। ওই গেস্ট হাউজে নিয়ে রাখে। সেখানেও পর্ন বানানো হয়। শুধু দেশের মধ্যে নয় বিদেশেও ওরা ব্রডকাস্টিং করছে এবং পর্ন বিজনেস চেন ওয়াইজ চলছে। এর সঙ্গে অনেকেই যুক্ত আছে। নারায়ণ দাস ওটা দেখাশোনা করে এবং মেয়েদের পরিচালনা করে। সেখানেই তিনটে মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁদের আনা হয়েছিল দিল্লি, গুরগাঁও, হরিয়ানা এবং একজন ছিল ভোজপুরি সিনেমার আইটেম গার্ল। সেখানেই অনেকে আসে তারা ড্রাগ নেয়। আমি কাজের খোঁজে এসেছিলাম। এখানে মেয়েদের অজান্তে পর্ন ভিডিওর বিজনেস হয়। আসল যে কাজের জন্য নেওয়া হয় সেটা হয় না। নারায়ন দাস ছয় সাত দিনের মাথায় অন্য গেস্ট হাউসে নিয়ে যায় সেখানে অনেকেই ওদের চেনাজানা আসত। তার মধ্যে দুজন ভিডিও কল করে একটা লণ্ডনে, একটা বাংলাদেশে। আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়।'
ওই তরুণী আরও বলেন 'পয়লা ফেব্রুয়ারী অভিযোগ করি পূর্ব থানায়। আমি চাইছি যাদের নাম অভিযোগ পত্রে সাবমিট করেছি তারা গ্রেফতার হোক। এছাড়া আরো যারা বড়ো বড়ো মাথা যুক্ত আছে কারণ চেন ওয়াইজ এই ব্যবসা চলছে প্রস্টিটিউশন, মাদক চোরাচালন এবং পর্ন বিজনেস সব বন্ধ হোক।' উল্লেখ্য, অভিযোগ জানানোর পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সেখানে হানা দিয়ে নারায়ন দাসকে গ্রেফতার করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ।