অভিনব বসু যাবদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আহত হয়েছে। তাঁর অভিযোগ ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকায় ক্ষত হয়েছে তাঁর চোখ আর পায়ের পাতা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে এসএফআই-এর বিক্ষোভের আঁচ এবার পরিবারের অন্দরে। পরিস্থিতি এমনই যে আহত ছাত্রের বাবাকে বলতে হচ্ছে যে তাঁর সঙ্গে তাঁর ছেলের কোনও সম্পর্ক নেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্ররা ব্রাত্য বসুকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তাদেরই মধ্যে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অমৃত বসুর ছেলে অভিনব বসু। বর্তমানে রীতিমত আহত অভিনব। এই পরিস্থিতিতেই বাবা ছেলের শাস্তির দাবিতে সরব হলেন।
অভিনব বসু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আহত হয়েছে। তাঁর অভিযোগ ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকায় ক্ষত হয়েছে তাঁর চোখ আর পায়ের পাতা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা কথা বলার জন্যই শিক্ষামন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে কথা না বলে গাড়িতে উঠে পড়ে। গাড়িও চলতে শুরু করে। তাতেই তিনি আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন অভিনব।
অভিনব বসুর বাড়ি হাওড়ায়। তাঁর বাবা অমৃত বসু সাঁকরাইল ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে ছেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। যাদবপুর-কাণ্ডে দোষী হলে তাঁর ছেলের শাস্তি হওয়া উচিৎ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অমৃত বসু সাঁকরাইলের ঝোড়হাট এলাকার বাসিন্দা। গতকাল অভিনব বসু আহত হয়েছেন। তারপর থেকেই তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেই সময়ই প্রকাশ পায় তাঁর বাবা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাতে চর্চা আরও জোরদার হয়। তৃণমূল নেতা বাবার ছেলে বাম সদস্য। সেই ছেলে আবার ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে আহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার মুখ খোলেন অমৃত বসু। তিনি বলেন, অভিনব বাম ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত। 'আমি তৃণমূল করি। ফলে আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ এক নয়। এই কারণেই আমাদের সম্পর্ক নেই।' তিনি আরও জানিয়েছেন, কোভিডের পর থেকেই তাঁর ছেলে আর বাড়ি আসেনা। তিনিও ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না। তিনি ব্রাত্য বসুর ওপর হওয়া হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। ছেলে যদি দোষী হয় তাহলে ছেলের শাস্তিরও দাবি করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত সাতটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে ৷ এদিন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দায়ের হওয়া সাতটি মামলার মধ্যে দু’টি পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে করেছে ৷ শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ আদালত তাঁকে ১২ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷ তবে কতজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, অভিনব বসুর নাম রয়েছে কিনা- তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
