South Calcutta Law College News: এবার কি সাউথ ক্যালকাটা ‘ল’ কলেজেও থ্রেট কালচার? সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য।
South Calcutta Law College News: বিস্ফোরক অভিযোগ! আরজি করের মৃত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনার পর ঠিক যেভাবে পুরো রাজ্য জুড়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের বিষয়টি সামনে এসেছিল, ঠিক সেইভাবেই এবার কসবার ঘটনার সূত্র ধরে প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক তথ্য।
রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ। জানা গেছে, সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নাকি ভর্তির সিন্ডিকেট চালাতেন! এমনই অভিযোগ উঠে আসছে কলেজের ছাত্রদের মধ্যে থেকেই। এই সিন্ডিকেট নিয়ে এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন বিরোধী দলের ছাত্রনেতারা। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেছেন, ২০১১ সাল থেকে ক্যাম্পাসে সিন্ডিকেটরাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। বিধায়ক থেকে সাংসদ, সবার অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। অবিলম্বে এই অবৈধ ছাত্র সংসদ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
অ্যাডমিশনের নামে নেক্সাস চালাতেন
অভিযোগ উঠে আসছে, সাউথ ক্যালকাটা ‘ল’ কলেজে অ্যাডমিশনের নামে নেক্সাস চালাতেন ঐ টিএমসিপি নেতা। যিনি এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। এবার কলেজের ছাত্রদের একাংশ অভিযোগ তুলছেন, সাউথ ক্যালকাটা ‘ল’ কলেজে পার হেড ভর্তির রেট ছিল ২ লক্ষ টাকা করে। এমনকি, কলেজে এনট্রান্স বা প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়ার পর কাউন্সেলিং-এর সময় নাকি একাধিকক্ষেত্রে কলকাঠি নাড়তেন ঐ অভিযুক্ত ছাত্রনেতা।
তবে তিনি একা নন! পুরো বিষয়টির মধ্যে তাঁর মাথার উপর হাত ছিল শাসকদলের এক বিধায়ক তথা বার কাউন্সিলের উচ্চ এক পদাধিকারীর। তাঁর সুপারিশেই নাকি হত সেই অ্যাডমিশন! এদিকে সেই সুযোগে বড় অঙ্কের টাকা পকেটে ঢোকাতো ঐ ছাত্রনেতাদের বাহিনী।
আরও জানা গেছে যে, সেই প্রবীণ বিধায়ককে আবার জ্যেঠু বলে ডাকতেন অভিযুক্ত সেই নেতা
প্রবীণ ঐ বিধায়কের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবিও রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। এই অভিযুক্ত নাকি নিজেকে কলেজে আবার ‘জ্যেঠুর লোক’ বলে পরিচয় দিতেন এমনটাই জানা গেছে। মেধাতালিকায় নাম না থাকলেও টাকার বিনিময়ে ভর্তি হওয়া যেত এই কলেজে।
বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার আবার অভিযোগ, "বিভিন্ন কলেজে এগুলো চলে। আমরা তো এন্ট্রান্স দিয়ে পড়াশোনা করেছি। আর এখন মেধা থাকলেও পড়ার সুযোগ পায় না। এবার বিষয়টাকে গুরুত্ব না দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।”
উল্লেখ্য, তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব জানিয়েছেন, কলেজের পড়ুয়ারা তাঁকে জেঠু বলে ডাকতেন। তাঁর কথায়, “আমার তো অবারিত দ্বার। অনেকে এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়। নেতা-মন্ত্রীদের পক্ষে সিকিউরিটি চেক করে লোক ঢোকানো সম্ভব নয়।” তবে যে অন্যায় হয়েছে, তাঁর কঠোর শাস্তি হোক বলে দাবি তাঁর।
সোমবার, আবার কলেজে জিবি মিটিং-এ যোগ দেবেন তিনি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

