SSC Case In Cal HC: ২০১৬ সালের চাকরি প্রার্থীদের নতুন করে নিয়োগের খসড়াবিধিতে রয়েছে অনেক ত্রুটি। অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চাকরি প্রার্থীদের একাংশের। বিস্তারিত জাানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন… 

SSC Case In Cal HC: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ মেনে প্রকাশ করা হয়নি চাকরির পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। উল্লেখ নেই বয়সের সীমারেখা। একাধিক অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল মামলা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার SSC-র নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আগামী ৫ জুন মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত ২৯ মে মধ্যরাতে ২০১৬ সালের চাকরিহারাদের নিয়োগের পরীক্ষার নতুন খসড়াবিধি প্রকাশ করেছে এসএসসি (SSC)। নতুন পরীক্ষার নিয়মে রয়েছে একাধিক বদল। এদিন তারই বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। মামলাকারী চাকরি প্রার্থী লুবানা পারভিন অভিযোগ করে বলেন, ''নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি ২০১৬ সালের মতই করতে হবে। ২০১৬ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ৫৫ লম্বরের লিখিত পরীক্ষা হত। সেখানে নতুন বিধিতে ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও, চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্যতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আরও নানা মাপকাঠি সংযোজন করা হয়েছে। যেমন, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর, ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে ১০ নম্বর ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর উপরেও থাকছে ১০ নম্বর।'' আর সেই কারণেই তাঁরা হাইকোর্টে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি (Jobless Teachers), যাঁরা আগে ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন, তাঁরা যোগ্যতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন। সে কারণেই এসএসসির সর্বশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন মামলাকারীরা।

শুধু তা-ই নয়, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির হিসাবে যাঁদের বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর, তাঁরাই নিয়োগের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছে এসএসসি। রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্য অনগ্রসর শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা। এ ছাড়া, নতুন নিয়ম অনুসারে, মেধাতালিকা (প্যানেল) এবং অপেক্ষমান মেধাতালিকা (ওয়েটিং লিস্ট)-র মেয়াদ থাকবে প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে এক বছর পর্যন্ত। 

জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের আগাম অনুমতি নিয়ে সেগুলির মেয়াদ আরও ছ’মাস বৃদ্ধি করতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নতুন পরীক্ষাবিধিতে আরও বলা হয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও দু-বছর লিখিত পরীক্ষার মূল OMR শিট সংরক্ষণ করতে হবে। তার পরে সেগুলি নষ্ট করা যেতে পারে। তবে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি সংরক্ষিত থাকবে ১০ বছর পর্যন্ত বলে জানানে হয়েছে। 

মামলাকারীদের অবশ্য় দাবি, অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর থাকলে তাঁদের মতো বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা ফের বঞ্চিত হবেন। কারণ, তাঁদের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা না থাকায় তাঁদের নতুন করে ৯০ নম্বরে পরীক্ষা দিতে হবে। অভিজ্ঞতার জন্য নির্দিষ্ট ১০ নম্বর পরীক্ষায় বসার আগেই তাঁদের নম্বর কমে যাবে। তাই তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলাকরী চাকরি প্রার্থীদের একাংশ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নিয়মে অ্যাকাডেমিক্সের মার্কস ছিল ৩৫, সেটাকে বর্তমানে কমিয়ে করা হয়েছে ১০। লিখিত পরীক্ষায় ছিল ৫৫ নম্বর। সেটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ নম্বরের। ইন্টারভিউ ছিল ১০। তবে এবারের নতুন নিয়মে ইন্টারভিউ ১০ ও লেকচার ডেমোস্ট্রেশনের জন্য ১০ বরাদ্দ করা হয়েছে। টিচিং এক্সপেরিয়েন্সের জন্য ১০ নম্বর থাকছে। আগে ইন্টারভিউ লিস্ট তৈরি হত ৯০ নম্বরের ভিত্তিতে, তবে বর্তমানে ইন্টারভিউ লিস্ট তৈরি হবে ৭০ নম্বরের ভিত্তিতে। আগে চাকরি প্রার্থীদের ১:১.৪ অনুপাতে ডাকা হত। অর্থাৎ ১০০টি পদের জন্য ১৪০ জনকে ডাকা হত। এখন ১:১.৬ অনুপাতে ডাকা হবে। অর্থাৎ ১০০টি পদের জন্য ১৬০ জনকে ডাকা হবে। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।