সংক্ষিপ্ত
SSKM হাসপাতালে ফের হামলা করল দুষ্কৃতীরা। ট্রমা কেয়ারের সামনে হকি স্টিক ও উইকেট নিয়ে তাণ্ডবের অভিযোগ। একজন রোগীর আত্মীয়কে মাথা ফাটিয়ে আবারও প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের নিরাপত্তা। হাসপাতালের ভেতরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আরজি করকেলেঙ্কারির পরও কি হাসপাতাল নিরাপদ?
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ সকাল ৮টার পরে এই ঘটনা ঘটে। হাতে হকি স্টিক ও উইকেট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের সামনে মোটরসাইকেলে ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। এর পর শুরু হয় মারধর। জানা গেছে, হাসপাতালের বাইরে দু’দল দুষ্কৃতীর মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছে। সেই ঝামেলার পর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিল একটি দল। এরপর অন্য দল এসে ওই দলের লোকজনকে মারধর শুরু করে। জানা গেছে, প্রায় ১২-১৫ জনের একটি দল হাসপাতালে ঢুকে এ ঘটনা ঘটায়।
অন্যদিকে এই ঘটনার পর হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এতে আতঙ্কিত অনেক রোগীর স্বজনরা। তাদের কথায়, 'হাসপাতালে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? চোখের সামনে দেখলাম দুর্বৃত্তরা পাইপ ও হকি স্টিক নিয়ে ঢুকে মারধর শুরু করে। পুলিশকে কোথাও দেখা যায়নি। অনেক পরে এসেছে। ততক্ষণে দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ঘটিয়ে চলে যায়। কোথাও নিরাপত্তা নেই।'
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাঁকুড়া থেকে একজন রোগী আসেন। রোগীকে আজ ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। রোগীর আত্মীয়কেও মেরে মাথা ফাঁটিয়ে দেওয়া হয়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরজিকরে ধর্ষণ-হত্যার পর থেকে স্বাস্থ্য খাতে নিরাপত্তার দাবিতে অনশন করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছুপদক্ষেপ নিতে। সম্প্রতি, রাজ্যের মুখ্যসচিব এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন যে হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি সিসিটিভি বসানোর টাস্কফোর্সের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। তাই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে এমন হামলায় ফের প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্য খাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে!