সংক্ষিপ্ত
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত দাবি করেছেন, মূলত তোষামোদ ও ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এবারের বাজেট ছিল রাজ্য সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ পেশ হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। এরপর নতুন সরকার এসে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে। সাধারণত সেটাই রীতি। কিন্তু এই বাজেট নিয়ে বেশ সমাবোচনা শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি শেষ হওয়া বাজেটে সংখ্যালঘু বিষয়ক বিভিন্ন দফতর ও মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে রাজ্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত দাবি করেছেন, মূলত তোষামোদ ও ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা বাজেটে (West Bengal Budget) শিল্প দফতরের খাতে ১৪৭৭.৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। একইভাবে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র শিল্পের জন্য মমতা সরকারের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে ১২২৮.৭৮ কোটি টাকা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৮৬৬.২৬ কোটি টাকা। আর এই সব বরাদ্দকে ছাড়িয়ে গিয়েছে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরে বরাদ্দ হওয়া টাকার অঙ্ক। হ্যাঁ, রাজ্যের অন্যান্য খাতে বরাদ্দ হওয়া অর্থের নিরিখে সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন দফতর ও মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে ৫৬০২.২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।
সুকান্তর বক্তব্য, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্রশিল্পে যেখানে বরাদ্দ মাত্র ১২২৮.৭৮ কোটি টাকা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বরাদ্দ যেখানে ৮৬৬.২৬ কোটি সেই নিরিখে সংখ্যালঘু খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ অনেকটাই বেশি। যা বুঝিয়ে দেয় তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি।
সুকান্ত বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাজেটে অগ্রাধিকারের তালিকাটা নাকি চমকে দেওয়ার মতো। বাংলা যেখানে বেকারত্ব, দুর্বল পরিকাঠামো এবং রুগ্ন শিল্পের কারণে প্রতিমুহূর্তে ধুঁকছে সেখানে দাঁড়িয়ে নির্লজ্জের মতো তোষামদের রাজনীতিতে ব্যস্ত তৃণমূল। মূলত পেশ হওয়া বাজেটে সংখ্যালঘু দফতর ও মাদ্রাসায় বরাদ্দ অর্থ নিয়েই ঘোর আপত্তি প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।