সংক্ষিপ্ত
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্যের নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথাও জানিয়েছিলেন শুভেন্দু।
রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসন-বিতর্ক। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর আক্রমণের জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া জনপ্রতিনিধিদের পাশে বসার জায়গা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তাই তিনি অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই সূত্র ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকও করেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথামাফিক রাজভবনে রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্যের নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথাও জানিয়েছিলেন শুভেন্দু।
কিন্তু বুধবার সকালে দেখা যায় ভিন্ন ছবি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু। এই আবহেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরুর আগে টুইট করেন শুভেন্দু। তাতে নতুন রাজ্যপালকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন ওই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার কারণও। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে জায়গা দেওয়া হয়েছে তৃণমূল সাংসদদের পিছনে। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের বসার আয়োজন বলে দাবি করে একটি ছবিও টুইট করেন তিনি। শুভেন্দুর ব্যাখ্যা, তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মালা রায়ের বসার জায়গার পিছনে তাঁর চেয়ার রাখা হয়েছিল।
তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর পাশে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণীর চেয়ার ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর ‘খামখেয়ালিপনা’র জেরেই এমন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। এর কিছুক্ষণের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লম্বা পোস্ট করেন তিনি। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর আসন-বিতর্ক নিয়ে বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকও করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ’ করার জন্যই তাঁকে ‘অপমান’ করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতার পদমর্যাদার সঙ্গে তিনি সমঝোতা করবেন না বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে, বুধবার রাজভবনে বাংলার ২২ তম স্থায়ী সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তড়িঘড়ি এই শূন্যস্থান পূরণ করতে অনুষ্ঠানে হাজির হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।