সংক্ষিপ্ত

আরজি কর-কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ও বিনীত গোয়েলের গ্রেফতারের দাবি তুলে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতারের দাবি তুলে কার উদ্দেশ্যে বার্তা, তা নিয়ে জল্পনা।

আরজি করকাণ্ডে ক্রমশই বিড়ম্বনা বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। শান্তনু সেন, কুণাল ঘোষ, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পরে এবার বেসুরো তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দু শেখর। যদিও আগেই আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। গত বুধবার মেয়েদের রাত দখল কর্মসূচিতে মেয়ের বাবা হিসেবে পথে নামবেন বলে জানিয়েছিলেন। এবার তার থেকেও একধাপ এগিয়ে সরাসরি কলকাতার পুলিশ সুপার বিনীত গোয়েলকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুখেন্দু শেখর লিখেছেন, ‘সিবিআইকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে হবে। প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ও পুলিশ কমিশনারের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ কে এবং কেন আত্মহত্যার গল্প ভাসিয়েছিল তা জানা আবশ্যক। কেন হলের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হল, কারা রায়কে এত শক্তিশালী হতে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল, কেন তিন দিন পরে স্নিফার কুকুর ব্যবহার করা হয়েছিল। তার কথা বলুন’।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে আরজি কর-কাণ্ড সন্দীপ ঘোষ ও বনীত গোয়েলের সরাসরি গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সুখেন্দু শেখর রায়। তৃণমূল অন্দরে গুঞ্জন, বিনীত গোয়েল ও সন্দীর ঘোষ- দুজনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ট। তাই তাদের দুজনের গ্রেফতারের দাবি করে তিনি কার উদ্দেশ্যে বার্তা দিচ্ছেন তাই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।

সুখেন্দু শেখর রায়ের দাবি আরজি কর-কাণ্ডে বহু প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। যা বলতে পারেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার। আর সেই কারণে তিনি তাদের দুজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবিতে সরব হয়েছেন। তবে তণমূল নেতার এই দাবি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।