সংক্ষিপ্ত

রাতের অন্ধকারে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ।

রাতের অন্ধকারে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ।

এই ঘটনার ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে রীতিমতো উদ্বিগ্ন খোদ দেশের শীর্ষ আদালত। আর এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আর জি কর (RG Kar) হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবারই হাসপাতালে পৌঁছে যায় সিআইএসএফ (CISF)।

মঙ্গলবার শুনানির সময় চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয় যে, “গত ১৪ আগস্ট রাতে শুধু হাসপাতাল নয়, হোস্টেলেও আক্রমণ করা হয়েছিল। মহিলা রেসিডেন্টদের হুমকি দেওয়া হয় সেই রাতে। বলা হয় যে, আন্দোলন করা যাবে না। সেই ভয়ে মা-বাবারা তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। আর আপনারা বলছেন কাজে যোগ দিতে? এই আতঙ্কের পরিস্থিতিতে তা কীভাবে সম্ভব?”

তা শুনে বিচারপতিরা পর্যবেক্ষণ দেন, “প্রায় ৭০০ রেসিডেন্ট ডাক্তারের মধ্যে বেশিরভাগই নিরাপত্তার অভাব বোধ করার জন্য চলে গেছেন। এখন ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলা এবং ৬০ থেকে ৭০ জন পুরুষ ডাক্তার রয়েছেন। শুধু নিজেদের পড়াশোনা নয়, পরিষেবা দেওয়ার স্বার্থে সমস্ত চিকিৎসকের হাসপাতালে ফিরে আসা উচিৎ। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে সিআইএসএফ এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করতে হবে আর জি কর হাসপাতালে।”

আর এরপরেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পৌঁছে যায় সিআইএসএফ-এর বিশাল বাহিনী। মূলত ডাক্তারদের নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি হাসপাতালের নিরাপত্তা এখন থেকে আর রাজ্য পুলিশের হাতে নেই। পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবারও একবার মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের।

কার্যত, নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়াতে পুলিশের হাত থেকে নিরাপত্তার ভার চলে গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।