সংক্ষিপ্ত

সাক্ষীদের প্রভাবিত করলে বাতিল হবে জামিন। নিম্ন আদালতের প্রতিটি শুনানিতে হাজির থাকার নির্দেশ। অর্পিতার বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের পর গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ।

সাক্ষীদের ওপর প্রভাব খাটালে বা হুমকি দিকেই বাতিল হয়ে যাবে জামিন। পার্থকে জানিয়ে দিন সুপ্রিম কোর্ট। জামিন মঞ্জুর হলে তদন্তে ক্ষতি হতে পারে। আদালতে বার বার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জামিনের বিরোধিতায় এমনই যুক্তি দিয়েছে ইডি থেকে সিবিআই। বিরোধিতা সত্ত্বেও শুক্রবার ইডির মামলায় পার্থের জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের প্রভাবশালী তত্ত্বে-র অভিযোগ নিয়ে পার্থকে কড়া বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শর্ত না মানলে জামিন বাতিল হয়ে যেতে পারে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরুদ্ধে এত দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অন্যতম প্রধান যুক্তি ছিল, তিনি প্রভাবশালী। জামিনে মুক্তি পেয়ে গেলে তিনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। সাক্ষীদের ওপর প্রভাব খাটাকে পারেন। নষ্ট করতে পারেন তথ্যপ্রমাণ। তবে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট পার্থর জামিন মঞ্জুর করে। তারপর ইডির মামলায় জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শেষে চলতি মাসের ৪ ডিসেম্বর সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে।

শুক্রবার জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কোনও সাক্ষীর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে পারবেন না পার্থ। সঙ্গে বলা হয়েছে, নিম্ন আদালতের প্রতিটি শুনানিতে হাজির থাকতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। কোনও অপ্রয়োজনীয় কারণে শুনানি পিছনো হবে না। যদি দেখা যায় তিনি অহেতুক শুনানি দীর্ঘায়িত করছেন, তবে পার্থের জামিন বাতিল হবে। প্রতি শুনানিতে সশরীরে নিম্ন আদালতে হাজির থাকতে হবে তাঁকে।

২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা বেশি নগদ উদ্ধার হয়েছিল। অর্পিতার পাশাপাশি পার্থকেও গ্রেফতার করা হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অন্যতম মূলচক্রী পার্থ। এবার পার্থর জামিন মঞ্জুর হল এই মামলায়।