২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে আবার তাঁরা পরস্পরের মুখোমুখি না হলেও ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ঘুঁটি সাজাতে শুভেন্দু সক্রিয় থাকছেন বলেই মনে করছেন ভবানীপুর বিধানসভার বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজয়ের পর ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে জেতেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এগারো সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ভবানীপুর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ান মমতা। একুশের নির্বাচনের কয়েকমাস বাদ দিলে ভবানীপুরের বিধায়ক মমতা-ই। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই বিধানসভা কেন্দ্রেই বাড়তি নজর দিয়েছেন শুভেন্দু।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৬৩, ৭০,৭১, ৭২ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তবে ৭৩, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে বড় ব্যবধানে এগিয়ে সার্বিক ভাবে বিধানসভায় এগিয়েছিল তৃণমূল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শুধু ভবানীপুরই নয়, দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রেও বিজেপি প্রার্থীর জয় সম্ভব বলে বৈঠকে দাবি করেছেন শুভেন্দু।
২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে আবার তাঁরা পরস্পরের মুখোমুখি না হলেও ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ঘুঁটি সাজাতে শুভেন্দু সক্রিয় থাকছেন বলেই মনে করছেন ভবানীপুর বিধানসভার বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী এক বছরের মধ্যে যাতে প্রতিটি বুথে বিজেপি লড়াই করার মত শক্তি জোগাতে পারে, সেই বিষয়ে এখন থেকেই পদক্ষেপ করতে বলেছেন শুভেন্দু।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর নিজাম প্যালেসের দফতরে বৈঠক করেন তিনি। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী ফের প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়েই দলের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি শুরু করতে বলেছেন বিরোধী দলনেতা।
বৈঠকে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, ভবানীপুর বিধানসভার আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে পাঁচটিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। গত কয়েক বছরের নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, সামগ্রিক ভাবে ভবানীপুরে ভাল ফল করার জায়গায় রয়েছে বিজেপি। শুভেন্দু মনে করছেন, বুথস্তরে শক্তি জোগাতে পারলে, মুখ্যমন্ত্রীকে লড়াইয়ের মুখে ফেলা যেতে পারে।


