সংক্ষিপ্ত

বিধানসভায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ আসার পর একই ফ্রেমে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে কেউ কারো সঙ্গে কথা বলেননি। সিপিআই(এম) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যে আপত্তি জানানোয় বুদ্ধদেবকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে না।

বামফ্রন্ট শূন্য বিধানসভায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ মিলিয়ে দিল বিরোধীদের। একই ফ্রেমে ধরা পড়লেন রাজ্যের বর্তমান যুযুধান দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। একদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিপক্ষের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ বিদায়ের আগে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মিলিয়ে দিয়ে গেলেন বিরোধী দলের দুই সদস্যকে।

বিধানসভায় আনা হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ। দীর্ঘদিনের জনপ্রিতিনিধি। তাঁকে সেখানেই শ্রদ্ধা জানায় তৃণমূল ও বিজেপির বিধায়করা। বিধানসভাতেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বুদ্ধবাবুকে শ্রদ্ধা জানান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সময়ই তাঁকে একই সঙ্গে দেখা যায়। যদিও কেউই কারো সঙ্গে কথা বলেননি। শুভেন্দু অধিকারী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, সমবেদনা জানান তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে। তারপরই সেখান থেকে চলে যান। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শ্রদ্ধা জানানোর ভিডিও নিজেই শেয়ার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

 

 

 

বিধানসভায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ আসার সময়ই স্লোগান দেন দলীয় বিধায়করা। সেখানে দীর্ঘ সময় রাখা হয়েছিল দেহ। বিধানসভা থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ নিয়ে যাওয়া যায় আলিমুদ্দিনে সিপিআই(এম)এর পার্টি অফিসে। সেখানে দেহ রাখা হবে প্রায় তিন ঘণ্টা। আলিমুদ্দিনের দলীয় কার্যালয়ে প্রিয় নেতাকে বিদায় জানাতে সকাল থেকেই ভিড় রয়েছে অনুগামীদের। দলীয় কার্যালয় থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে যুব দফতরে। সেখান থেকেই মিছিল করে দেহ তুলে দেওয়া হবে এনআরএস কর্তৃপক্ষের হাতে।

রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানান হচ্ছে না। তাঁকে গ্যানস্যালুটে বিদায় জানান হবে না। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় গতকাল, বৃহস্পতিবারই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু মমতার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে সিপিএম। আর সেই কারণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানান হচ্ছে না সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।