সংক্ষিপ্ত

২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মীদের কর্মবিরতি বেশ কিছুটা প্রভাব ফেললেও রাজ্য সরকার এখন বকেয়া ডিএ- নিয়ে সেভাবে জোরালো কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এর ফলে রাজ্য সরকারের দরজায় আরও জোরে কড়া নাড়তে ১০ই মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে

১০ই মার্চ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘট রাজ্যজুড়ে। এই ধর্মঘটের লক্ষ্য সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি নয়। বরং সরকারি কর্মীরা যে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, তার দাবি আদায়ের অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে ১০ই মার্চের ধর্মঘট। এমনই মনে করছেন সরকারি কর্মচারিরা। সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষিকা পৃথা বিশ্বাসের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও উঠে এসেছে একই বক্তব্য।

পৃথা জানাচ্ছেন 'আমি চাই আগামী দশই মার্চ ধর্মঘট করার জন্য মহামান্য সরকার বাহাদুর থুড়ি বাহাদুরনি আমার একদিনের বেতন কাটুন, চাকরি জীবনের একটি দিন কাটুন। কারন আমি চাই আমার সার্ভিস বুকে লেখা থাকুক দেশজুড়ে ধর্মীয় বিভাজনকেই রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করেছি, যোগ্যতা রাস্তায় ধর্না দিচ্ছে,আর বুক ফুলিয়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি কেনাবেচা চলছে, এই বেনিয়মকে আমি ধিক্কার জানিয়েছি, দিনের পর দিন অস্থায়ী কর্মীর তকমা বয়ে চলা যোগ্য কর্মীর চাকরির স্থায়িত্বের পক্ষে আমি গলা ফাটিয়েছি, আমার সার্ভিস বুকে লেখা থাকুক, আমি আমার আর আমাদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে বলতে পেরেছি মন্ত্রী সান্ত্রী নন, প্রশাসন চালান আসলে সরকারি কর্মচারীরাই'।

উল্লেখ্য, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মীদের কর্মবিরতি বেশ কিছুটা প্রভাব ফেললেও রাজ্য সরকার এখন বকেয়া ডিএ- নিয়ে সেভাবে জোরালো কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এর ফলে রাজ্য সরকারের দরজায় আরও জোরে কড়া নাড়তে ১০ই মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। শুক্রবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রস্তাবিত ধর্মঘট নিয়ে উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। কর্মক্ষেত্রে ডাকা ধর্মঘট রুখতে সরকার যে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, সেটা আঁচ করে পাল্টা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আন্দোলনকারী কর্মচারী সংগঠনগুলি।

বুধবার সন্ধ্যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ১০, ১১, ১৩, ১৫, ১৯ মার্চ বিভিন্ন ক্যাম্প অফিস থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র বণ্টনের নির্ধারিত কর্মসূচি অপরিবর্তিত আছে। নির্ধারিত দিনেই প্রধান পরীক্ষকেরা ক্যাম্প অফিস থেকে খাতা পাবেন এবং তাঁদের কাছ থেকে পরীক্ষকেরা তা সংগ্রহ করবেন।

প্রসঙ্গত, বকেয়া মহার্ঘভাতা তথা ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি চলছে অনশন। ১০ মার্চ ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর আগে ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি গোটা দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলকারীরা। ২৮ ফেব্রুয়রি দুই ঘণ্টার র্মবিরতি পালন করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।