সংক্ষিপ্ত
বেশ কয়েকদিন পর এই বিষয় নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেছেন, "সিবিআই তার কাজ করছে, আমরা এই বিষয়ে (তদন্ত) কিছু বলতে পারি না...
আরজি কর হাসপাতালের চার দেওয়ালের মধ্যে ৮ আগস্ট রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? এখন এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে সকলে। চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনার রহস্যভেদ করতে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। মামলা গিয়ে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে।
এখনও পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না অবস্থান চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। তার মধ্যে পাঁচ নম্বর দাবিই দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে গত সোমবার পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে তারা বলেন, আলোচনা সদর্থক।
এদিকে, বেশ কয়েকদিন পর এই বিষয় নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেছেন, "সিবিআই তার কাজ করছে, আমরা এই বিষয়ে (তদন্ত) কিছু বলতে পারি না... যারাই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে কোন না কোনভাবে জড়িত বা যারা প্রমাণের কারচুপির সাথে জড়িত, তারা সবাই তদন্তাধীন রয়েছে...
ওরা ব্যাথা নিয়ে প্রতিবাদে (জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদে) বসে আছে, ওরা আমার সন্তানের মত, ওদের দেখলে আমরা ব্যাথা অনুভব করি... যেদিন অভিযুক্তদের শাস্তি হবে, সেদিনই আমাদের জয় হবে... ২০২১ সালেও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রী যদি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন, তাহলে আজ আমার মেয়ে বেঁচে থাকত"।
এদিকে, জানা গিয়েছে, পেন ড্রাইভের ব্যাকআপের জন্য হাসপাতাল খরচ করত চার হাজার টাকা থেকে বারো হাজার টাকা পর্যন্ত। এমনকি, ওয়াইফাই এবং হাই স্পিড ইন্টারনেটের জন্য খরচ করা হয় ১৮ হাজার টাকা। এছাড়াও কম্পিউটারের প্রিন্টারের কালি বা টোনারের জন্য আরজি কর কর্তৃপক্ষ খরচ করে ৪৫ হাজার টাকা।
আবার সিবিআই জানতে পেরেছে যে, কাউন্সেলিংয়ের জন্য দুসপ্তাহের মধ্যে দুবার আলাদা দরে জায়েন্ট ক্রিন ভাড়া নেওয়া হয়। আর এইসব কিছুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন সন্দীপ বলেই অভিযোগ সিবিআই-এর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।