শ্বাস আটকে রেখে মরার ভান করে মৃতের অভিনয় করেছি। এরপর আমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেছিল কাকা বালিশ চাপা দিয়ে, শ্বাস আটকে রেখেছিলাম আমি বেশ কিছুক্ষণ । এরপর ছাদে আত্মহত্যা করতে চলে যায় কাকা আর বাবা।
ট্যাংরা-কাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য । মুখ খুলল প্রসূন দে-র নাবালক ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার রাজ্য শিশু কমিশনের দুই সদস্যের সামনে ওই নাবালক ছেলে চাঞ্চল্যকর বয়ান দিয়েছে । তার দাবি, যোগা এবং জিম অনুশীলনের তার জন্য কিছুই হয়নি পায়েসে মেশানো ঘুমের ওষুধ খেয়েও। সে জানায়, শ্বাস আটকে রেখে মরার ভান করে মৃতের অভিনয় করেছিল।
নাবালক জানায়, আমিও পায়েস খেয়েছিলাম। কিন্তু পায়েসে মেশানো ঘুমের ওষুধ খেয়েও কিছুই হয়নি আমার যোগা এবং জিম করার জন্য । শ্বাস আটকে রেখে মরার ভান করে মৃতের অভিনয় করেছি। এরপর আমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেছিল কাকা বালিশ চাপা দিয়ে, শ্বাস আটকে রেখেছিলাম আমি বেশ কিছুক্ষণ । এরপর ছাদে আত্মহত্যা করতে চলে যায় কাকা আর বাবা। আমি কোনওমতে উঠে দোতলায় গিয়ে দেখি অলরেডি মারা গিয়েছে মা, কাকিমা এবং বোন। শিশু কমিশনের সদস্যদের ওই নাবালক আরও জানায়, এবার পাওনাদাররা ধাওয়া করবে এই ঘটনার দুদিন আগেই বলে বাবা। মৃত্যু ছাড়া কোনও উপায় নেই আর আমাদের। আমাকে সেদিন ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয় আলোচনার সময় । সে আরও বলে, অন্য কোনওভাবে রোজগারের উপায় নিয়ে পরামর্শ দিতে পারতাম সেদিন আমি ঘরে থাকলে । কিন্তু সে সুযোগই পেলাম না আমি। ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি হয়েছিল বলেও জানায় সে।
এদিকে, নাবালককে হোমে পাঠাতে চাইছে না শিশু সুরক্ষা কমিশন। দে পরিবারের কোনও আত্মীয়ের কাছেই তাকে রাখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন কমিশনের সদস্যরা। কমিশন নাবালককে রাখতে চায় প্রসূনের শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে । এই বিষয়ে কমিশন কথা বলার জন্য উদ্যোগী হচ্ছে কমিশন। সরকারি স্কিমের মাধ্যমে তারা মাসে মাসে মাসোহারা পাবেন নাবালক থেকে ছেলের সাবালক হওয়া পর্যন্ত। এক্ষেত্রে যদি ওই নাবালককের দায়িত্ব নিতে তাঁরা রাজি না থাকেন, তবে বিকল্প হিসেবে এই নাবালকের ভরণপোষণে রাজি আছেন একটি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ার পার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
