সংক্ষিপ্ত

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন মমতা। জানিয়ে দিয়েছেন, দরকার হলে রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকে ঘর তৈরির টাকা দেবে। এবার এই নিয়ে সামনে এল বড় আপডেট।

কেন্দ্রের টাকা আটকে রাখার কথা বহুদিন ধরেই বলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একলা চলো নীতি নিয়ে কোমর বেঁধে নামলেন মমতা। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে কোনও ভাবে সরকারি প্রকল্প কেন্দ্রের টাকা আটকে রাখার বিষয়টি বরদাস্ত করবেন না তিনি। প্রয়োজনে একাই প্রকল্প শেষ করবে রাজ্য।

এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন মমতা। জানিয়ে দিয়েছেন, দরকার হলে রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকে ঘর তৈরির টাকা দেবে। এবার এই নিয়ে সামনে এল বড় আপডেট।

আগেই জানানো হয়েছিল, আবাস যোজনায় বাংলার ১১ লক্ষ মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। তবে গত কয়েক মাসে আরও বহু মানুষ আবেদন করেছেন। সেই কারণে ঠিক হয়েছে, আগামী জুলাই মাস থেকে শুরু করা হবে সমীক্ষার কাজ। জানা যাচ্ছে, রাজ্য প্রশাসনের কাছে যত আবেদন জমা পড়েছে, এর মধ্যে প্রকৃত আবেদনকারীদের চিহ্নিত করে আবাস তৈরির কাজ শুরু করা হবে।

জানা যাচ্ছে, এসব বিষয়গুলিকে একসঙ্গে করেই সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। কোনও প্রকৃত আশ্রয়হীন যাতে বঞ্চিত না হন এবং অসৎ কোনও ব্যক্তি যাতে সুযোগ না পান, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সমীক্ষার কাজে ব্লকের বিডিও থেকে মহকুমা শাসক, সবাইকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য নীচুতলায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নবান্নের একজন আধিকারিক বলেন, এর আগে কেন্দ্রের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন গিরিরাজ সিং। আবাস থেকে শুরু করে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা, এসব নিয়ে তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত হয়েছিল। আশা করা হয়েছিল, নতুন সরকার তৈরি হওয়ার পর নতুন মন্ত্রী এলে সেই পরিস্থিতি হবে না। তবে মোদী ৩.০ সরকারে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং গ্রামোন্নয়ন দফতর এসেছে NDA শরিক জেডি (ইউ)র লল্লন সিংয়ের কাছে।

গত কয়েক মাসে আবাস যোজনায় আবেদনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে নবান্নের এক আধিকারিক বলেন, বহু গরিব মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে নিজেদের ঘর বাড়ি হারিয়েছেন। সেই কারণে তাঁরাও আবাস যোজনার বাড়ির জন্য আবেদন করেছেন। সেই সঙ্গে আবার অনেকে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইনের মাধ্যমেও অ্যাপ্লাই করেছেন। সেই প্রকল্পেই এবার কাজে নামতে চলেছে রাজ্য সরকার।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।