Kasba Law College Incident: কসবা কাণ্ডে মুখ খুলে বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মন্তব্য যে নিজের ব্যক্তিগত সেই বিষয়ে শনিবার রাতেই AITC-এর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
Kalyan Banerjee on Kasba Case: কসবা ল কলেজে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষনের ঘটনায় চড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে কলেজের নিরাপত্তারক্ষীও। কসবা কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলায় বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন তিনি বলেন, "আমি আগে ঘটনাটা জানতাম না" জানলাম যখন একদমই আমি হতভম্বয। রাজনৈতিক দলের রক্ষক যদি হয় ভক্ষক। চিন্তার বিষয়। কোনও প্রশ্রয় নয়, আমি করবো প্রতিবাদ । তাতে যদি আমাকে নিয়ে সমালোচনা হয় তো হবেই কিন্তু এদের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করব।''
তিনি আরও বলেন, ‘’আগে আমাদের রাজনৈতিক দলে এই রকম ঘটনা ঘটেনি কোনও দিন। কেন যে এই রকম হচ্ছে l কিছু ব্যক্তিদের জন্য দলের বদনাম হচ্ছে। আমি সাংসদ হিসাবে সবার সঙ্গেই যোগাযোগ থাকে। কোথায় কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা। আমাকে একজন এমপি এ এসএমএস করে জানাই, আমি এর তীব্র বিরোধিতা করছি। কঠোর থেকে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ।''
কল্যাণ বলেন, ‘’আমি কোনও দিনও দেখিনি আমাদের দলের কোনও মহিলাকে এরকম ভাবে অসন্মানিত হতে। এই ভিক্টিমকে কেন আগে থেকে ধরা হয়নি ? এরকম কাজ যে করে যাচ্ছিল তাকে কে সাহায্য করছে ? মাথার উপর কার হাত আছে যাতে এত সাহস পাচ্ছে ? ওই ভিকটিমকে কেন ইমিডিয়েটলি একশন নেওয়া হচ্ছে না ? দ্রুত জার্সিট তৈরি করে ইমিডিয়েট ফাঁসি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না কেনো ? কোন বড় নেতা আছে জানি না কিন্তু আমি মহিলাদের পাশে আছি শেষ পর্যন্ত দেখে ছাড়ব।'' রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করল কলকাতা পুলিশ।অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার কলকাতা পুলিশ রবিন কুমার ঘোষালের নেতৃত্বে এই বিশেষ টিম কসবা কাণ্ডে তদন্ত করবে। কসবা কাণ্ডের পুন: গঠন করবে কলকাতা পুলিশ। কসবা কাণ্ডে মেডিকো লিগ্যাল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে এই মেডিকো লিগাল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত। নখের আঁচড় থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রমাণ খুঁজে পেতে এই সিদ্ধান্ত।এদিকে,কসবাকাণ্ডে গ্রেফতার কলেজের নিরাপত্তারক্ষী। তার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ৪।
ধৃত গার্ডকে শনিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে তদন্তের স্বার্থে তাকে এক জুলাই পর্যন্ত পুলিশই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সরকারি পক্ষের আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল জানান, গার্ডের সঙ্গে যোগসাজশ করেই নির্যাতিতার ওপর গণধর্ষণ চালায় অভিযুক্তরা।
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনার আগে বারবার সাহায্য চেয়ে নিরাপত্তারক্ষীর থেকে সাহায্য মেলেনি। অভিযোগ, মনোজিতদের নির্দেশ মিলতেই গার্ড রুম ছেড়ে বেরিয়ে যান ওই নিরাপত্তা রক্ষী। নিজের করা এফআইআর’এ অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন ওই ছাত্রী। কেন নিরাপত্তা রক্ষী নিজের কাজ করেননি, কেন সব জেনেও চুপ করে ছিলেন তিনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ। সব মিলিয়ে সময় যত গড়াচ্ছে ততই টানটান উত্তেজনা বাড়ছে কসবা কাণ্ডে। এখন দেখার এই জল কতদূর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


