সংক্ষিপ্ত

শ্যামপুকুর বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা কেদার দাস। স্থানীয়ভাবে জানা গিয়েছে, কেদার শশী পাঁজার অনুগামী। অন্যদিকে শশী পাঁজার সঙ্গে আবার সুনন্দা ও তাঁর স্বামী বাবু সরকারের সম্পর্ক খুবই তিক্ত।

হুগলির পর এবার কলকাতায়- প্রকাশ্যে এল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। উত্তর কলকাতার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর সুনন্দা সরকারের হাতে মার খেলেন দলেরই যুব সংগঠনের প্রাক্তন নেতা কেদার দাস সভাপতি। প্রথমে কথা কাটাকাটি তারপরই মারধর। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মহিলা কাউন্সিলর। তবে এই বিষয়ে এখনও কিছু বলেননি কেদার।

 

শ্যামপুকুর বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা কেদার দাস। স্থানীয়ভাবে জানা গিয়েছে, কেদার শশী পাঁজার অনুগামী। অন্যদিকে শশী পাঁজার সঙ্গে আবার সুনন্দা ও তাঁর স্বামী বাবু সরকারের সম্পর্ক খুবই তিক্ত। তাই কেদার আর সুনন্দার বিবাদ প্রায়ই এলাকায় প্রকাশ্যে চলে আসে। এবার তা চরম পর্যায় পৌঁছায়। রাস্তাতেই মহিলা কাউন্সিলর চড়াও হন দলেরই যুব নেতা কেদার দাসের ওপর। রাস্তাতেই একের পর এক চড় মারতে থাকেন। যে ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা খতিয়ে দেখেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। দেখুন সেই ভিডিওঃ

 

ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা. 

 

মঙ্গলবার শোভাবাজরের ঢুলিপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বচসা বাধে। সেখানে কাউন্সিল ও যুবনেতা উপস্থিত ছিলেন। দ্রুত তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। প্রথম কথাকাটাকাটি হয়। তারপরই সুনন্দা হঠাৎ করে কেদারের গালে কষিয়ে চড় মারেন বলে অভিযোগ। যদিও সুনন্দা চড় মারার অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, এই এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছিলেন। কেদার আর তার দলবল কাজে বাধা দিচ্ছিল। তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন সুনন্দা। তবে মারধর করেছিলেন একথা মোটেও মানেননি সুনন্দা।

সুনন্দার পাল্টা দাবি কখনই কেদারকে থাপ্পড় মারা হয়নি। কিন্তু কেদারের অভিযোগ কাউন্সিলর তাঁকে চড় মেরেছিল। পাল্টা তাঁর আরও অভিযোগ, কাউন্সিলর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ থেকে শুরু করে জুয়া-সাট্টার ব্যবসায় সরাসরি মদত দিতেন। অর্থ উপার্যনের জন্য এলাকায় তিনি ও তাঁর স্বামী দুষিত করে তুলেছেন। কাউন্সিলর আর তাঁর স্বামীর বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই প্রকাশ্যেই তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। পাল্টা সুনন্দা কেদারকে সমাজবিরোধী হিসেবে দাগিয়ে দেন।