সংক্ষিপ্ত

যে কোনও দলীয় সভায় বা অনুষ্ঠানে তারকা পরিবেষ্টিত হয়েই থাকেন মমতা। এহেন তৃণমূল নেত্রীর অনুরাগীদের তালিকায় প্রায় দেখাই যায় না যাঁকে, তিনি অপরাজিতা আঢ্য। টলি দুনিয়ার সাড়া জাগানো অভিনেত্রী হয়েও রাজনীতির মঞ্চ থেকে কিছুটা দূরত্বই বজায় রাখেন তিনি।

বাংলার চলচ্চিত্রের সঙ্গে রাজনীতির প্রত্যক্ষ যোগাযোগ তৃণমূল জমানাতে বেশ গাঢ় হয়েছে। একাধিক টলি তারকাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে থাকতে দেখা যায়। যে কোনও দলীয় সভায় বা অনুষ্ঠানে তারকা পরিবেষ্টিত হয়েই থাকেন মমতা। এহেন তৃণমূল নেত্রীর অনুরাগীদের তালিকায় প্রায় দেখাই যায় না যাঁকে, তিনি অপরাজিতা আঢ্য। টলি দুনিয়ার সাড়া জাগানো অভিনেত্রী হয়েও রাজনীতির মঞ্চ থেকে কিছুটা দূরত্বই বজায় রাখেন তিনি। সেই অপরাজিতার মুখে শোনা গেল মমতাকে নিয়ে বিস্ফোরক বয়ান।

কী বললেন অপরাজিতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অপরাজিতা বলেন, ১৯৯২ সাল থেকেই ভালবাসি। আমাদের ওখানে ডুমুরজলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হচ্ছিল। সেই সময়ে তাঁর বিরোধীরা (সিপিএম) সভা লক্ষ্য করে আধলা ইট ছুড়ছিল। তখন যারা রুলিং পার্টি ছিল, তাদের হয় লোকে ভয় পেত না হলে ওই পার্টিটাই করত। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতাম।’

মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে করা এই ট্রোলিং প্রসঙ্গে এদিন অপরাজিতা বলেছেন, ‘আমি এখনও ওনার কথা শুনি। ওনার দু-একটা কথা নিয়ে মিম হয় ঠিকই। কিন্তু ওনার কথা কেউ মন দিয়ে শুনলে বুঝতে পারবেন তা খুব মিনিংফুল।’

অতীতের কথা বলতে গিয়ে এদিন অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘অনেক সময়ে নাচের স্কুল থেকে ফেরার সময়ে হাজরায় নেমে পড়তাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতাম। আমার আগ্রহেই শুনতাম। কারণ, অনেকেই আমাকে বলত নাচ করে গান করে ছাই হবে। নেচে গেয়ে বেড়ালে ভাল বিয়ে হবে না। তখন কী হবে? কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়েদের নবজাগরণের কথা বলতেন।'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।